শিলচর: ক্লাস রুমে শিক্ষকের প্রহারে গুরুতর আহত এক ছাত্র। আহত হয়ে বর্তমানে চিকিৎসাধীন ছাত্রটির নাম আয়ুব। অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম দিব্যজ্যোতি দত্ত। শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন আইয়ুবের পিতা আলাউদ্দিন।
শনিবার কাছাড় জেলার লক্ষ্মীপুর শিক্ষা খন্ডের অন্তর্গত তলেনগ্রাম নিম্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইংরেজিতে ব্রাশ বানান করতে না পারায়, স্কুলের প্রধান শিক্ষক দিব্যজ্যোতি দত্ত দ্বিতীয় শ্রেণীর পড়ুয়া আইয়ুবকে বেত দিয়ে বেধড়ক পেটাতে আরম্ভ করে। বেতের মার খেতে খেতে মাত্র সাড়ে সাত বছরের আইয়ুব মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। সেখান থেকে কোনওমতে সে বাড়িতে পৌঁছয়। আইয়ুবের বাড়ি ওই স্কুলের পাশেই।
আইয়ুবের এমন অবস্থা দেখে তার মা এবং আত্মীয়রা হতভম্ব হয়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে আয়ুবের পিতা আলাউদ্দিনকে ফোনে যোগাযোগ করা হলে জানান, তিনি পেশায় একটি ডেলিভারি বয়। তিনি বিষয়টি শুনতে পেয়ে তড়িঘড়ি বাড়িতে পৌঁছে তাঁর ছেলেকে নিয়ে লক্ষ্মীপুর বিপিএইচসি-তে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। সেখানে একটা শিশুর শরীরে বেতের আঘাত স্পষ্টভাবে লক্ষ্য করা যায়। ডাক্তারদের নজরে সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা সেরে আলাউদ্দিন পুত্র আইয়ুবকে নিয়ে লক্ষ্মীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছে।
অন্যদিকে বিষয়টি মিটমাট করার জন্য বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ, স্কুল পরিচালন সমিতির একাংশ সদস্যরা এবং শিক্ষক দিব্যজ্যোতি দত্ত আইয়ুবের বাড়ি গিয়ে সন্ধ্যায় মামলাটি মিটমাট করার জন্য অনুরোধ করেন। ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা পুনরায় যাতে না হয়, তার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু আয়ুবের অবস্থা গুরুতর দেখায়, অভিভাবক সহ গ্রামের লোকেরা এই মিটমাটে রাজি হননি। আইয়ুবের অভিভাবক সহ পরিবারের লোকেরা শিক্ষকের এই কাজকে অমানবিক বলে উল্লেখ করেন।