31 C
Kolkata
April 16, 2025
রাজ্য

শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি কাণ্ডে কোন প্রভাবশালীর হাত? ডাকা হতে পারে দপ্তরের আধিকারিকদের

সুভাষ পাল , সংবাদ কলকাতা: রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি কাণ্ডে পার্থ ও কল্যাণময়কে দফায় দফায় জেরা করছে সিবিআই। কিন্তু দুজনেই নিয়োগ কাণ্ডে দায় এড়িয়ে যাচ্ছেন বলে সিবিআই সূত্রে খবর। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলছেন, ‘আমার ভূমিকা খুব সীমিত ছিল, গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া দেখত শিক্ষা দপ্তর। আমি আধিকারিকদের উপর ভরসা করতাম। শিক্ষা দপ্তর থেকে ফাইল আসত। আমি সেই ফাইলে সই করতাম মাত্র।’ ফলে তাঁর এই মন্তব্যের জেরে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি কাণ্ডে দায় গিয়ে পড়ছে দপ্তরের আধিকারিকদের উপর। এজন্য শিক্ষা দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের ডাকা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে সিবিআই সূত্রে দাবি, পার্থ তথ্য গোপন করছেন। অথচ তাঁর বিরুদ্ধে সরাসরি যোগসূত্র মিলেছে। মিলেছে একাধিক তথ্য প্রমাণ। আজই পার্থ ও অর্পিতার বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করছে ইডি। অন্যদিকে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়।
ফলে স্বাভাবিকভাবে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। তাহলে কোন প্রভাবশালীর নির্দেশে অযোগ্য প্রার্থীদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল? কার নির্দেশে নামগুলো বাছাই করা হয়েছিল? কীভাবে এই নামগুলো বাছাই করা হয়েছিল? কেন যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল?
বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন রাজ্যের শিক্ষা কমিশনের প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা। আর এই প্রশ্নগুলির উত্তর পেতে ফের জেরা করা হবে অভিযুক্তদের। তাঁদের বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি। সেজন্য পার্থ, কল্যাণময় ও শান্তিপ্রসাদকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হচ্ছে। অন্যদিকে এই মামলায় আজ জেরার পর সিবিআই গ্রেপ্তার করেছে সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে। তিনি এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান ছিলেন। বর্তমানে তিনি উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।

Related posts

Leave a Comment