কৃষ্ণনগর: ২০১৮ সালে কৃষ্ণনগর পৌরসভার ১৭টি পদে ৭২ জনকে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। অভিযোগ, কোনও প্রকার ফলাফল প্রকাশ না করেই বিপুল টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয় চাকরি। সম্প্রতি তথ্য জানার অধিকার আইনে এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পুরসভার চেয়ারম্যান রিতা দাস জানান, প্রায় ২৫ হাজার প্রার্থীর ওএমআর শিট খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আরটিআই করা প্রার্থীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হাঁসখালির জয়নারায়ণপুরের বাসিন্দা সঞ্জয় সরকার জানান, নিয়োগ তো দূরের কথা, পরীক্ষার রেজাল্ট পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়নি।
অপর একজন পরীক্ষার্থী সুমন বিশ্বাসের অভিযোগ, ২০১৯ সালে আরটিআই করতে এসে ঘাড় ধাক্কা খেতে হয় তাঁকে। তখন পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন তৃণমূলের অসীম দাস। শেষ পুরনির্বাচনে পুনরায় জিতে তিনি চেয়ারম্যান-ইন-কাউন্সিলের সদস্য হয়েছেন। আর চেয়ারম্যান হয়েছেন রিতা দাস। আরটিআই-এর সূত্র ধরে পরীক্ষার উত্তরপত্রের কথা অসীম দাসের কাছে চিঠি দিয়ে জানতে চাওয়া হয়। তিনি বলেন, সবকিছু সংরক্ষিত আছে। কিন্তু পৌরসভার প্রধান করণিক পার্থ বন্দোপাধ্যায় জানান, তাঁর কাছে কেউ ওএমআর শিট দেয়নি। সুতরাং এব্যাপারে তিনি কিছুই বলতে পারবেন না।
এই ঘটনায় বিরোধীদের দাবি, অনেকদিন ধরে অভিযোগ আসছিল লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিক্রি হচ্ছে চাকরি। সেই অভিযোগেই সিলমোহর পড়ল আজ।
previous post