শঙ্কর মন্ডল: শাহজাহানকে টার্গেট করা হচ্ছে। ওখানে আরএসএস-এর উপস্থিতি আছে এই সব কথা বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বোঝালেন, তাতে এটাই প্রমাণ করে শাহজাহানরাই তৃণমূল আর তৃণমূল মানেই শাহাজাহান মডেল। এছাড়াও আছে আরও চমক, পাঁচ বছর পদ এনজয় করার পর অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী বলছেন, রাজনীতি ওনার জন্য নয়। ঠিক এইভাবেই কোথায় যেন মনে হচ্ছে, বাংলা এখন চিড়িয়াখানা। আর রাজনৈতিক নেতাদের একটা বড় অংশ এর আবাসিক। এই তালিকায় সব দলেরই কেউ না কেউ আছে।
তবে জনগণের সবচেয়ে পছন্দের তালিকায় অবশ্যই কুণাল ঘোষ এক নম্বরে থাকবেন। আর কুকথার ফুলঝুরি ছোটানোর ফলে এদের জন্য মানুষের মনে ঐ আবাসিকদের থেকেও নিচে জায়গা রয়েছে এই রাজনৈতিক তথাকথিত নেতাদের। আসলে রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা কোথায় পৌঁছালে আজ এই সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে একটা দল তাঁকে ডিফেন্ড করতে নেমে পড়ে।
যাই হোক, আজ একটা অন্য বিষয় বড্ড ভাবিয়ে তুলেছে। আসলে সারা রাজ্য জুড়েই আমাদের কিছু নেটওয়ার্ক আছে। তাই সব কিছুই আমাদের কাছে খবর হিসেবে চলে আসে। টাকি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক, যিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন, সেই ব্যক্তির গেষ্ট হাউসেই কাকতালীয়ভাবে সুকান্ত মজুমদারকে রাত্রিবাস করতে হল। এবং সবচেয়ে সিগনিফিকেন্ট হল, ঐ ফারুকের বিরুদ্ধে গরু চুরির অভিযোগ রয়েছে। এটাই আমার কাছে সবচেয়ে বেদনার। হয় ওনার কাছে ইনফর্মেশন নেই, সেটা তাঁর নেতৃত্ব দেবার অযোগ্যতা, আর না হয় স্যাডো লড়াইকে সামনে রেখে আর্থিক সুবিধা লাভের উদ্দেশ্যে সমঝোতা। যেটা অনেক বড় দুর্নীতি।
তবে সিপিএম, কংগ্রেস যেন এই নিয়ে আবার হাস্যকর চিৎকার না করে। কারণ, তৃণমূলের সাথে ওদের সমঝোতা আর কাউকে বলে দিতে হবে না। আর একটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সেটা হল সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে জাতীয় মহিলা কমিশনের রিপোর্টকে বিকৃত করার চেষ্টা ও তার পেছনে নির্লজ্জ পুলিশকে কাজে লাগানোর ঘটনা শুধু বাংলা নয়, সমগ্র পৃথিবীর গণতন্ত্রের লজ্জা।
তাই এহেন পরিস্থিতিতে সারা দেশের রাজনীতি নিয়ে যখন হৈচৈ করে এই রাজ্যের নেতারা, তখন তা যেকোনও বিশ্লেষকের কলম স্তব্ধ করে দেয়। তাই সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচনী বণ্ড নিয়ে যে মত দিয়েছেন, যা পুরোটা না পড়ে মন্তব্য করা চরম মূর্খামি হলেও এই রাজ্যের কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম নেতাদের মন্তব্য দেওয়ার হিড়িক দেখে কথা বলার ভাষা নেই। তবে আমি এখনও মনে করি, এই অস্থিরতার মধ্যে শেষ পর্যন্ত জেহাদিদের এজেন্ডা কিন্তু সফল হবে আগামী কিছু দিনের মধ্যে।
previous post