বাসন্তী, ৩১ জুলাই: আবারও শাসক দলের গোষ্ঠীকোন্দলে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বাসন্তী। যুব তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদেরকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠলো মাদার তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন যুব তৃণমূল কংগ্রেসর চারজন মহিলা। ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তী থানার অন্তর্গত কাঁঠালবেড়িয়া পঞ্চায়েতের উত্তর ভাঙনখালি গ্রামে। বর্তমানে আশাঙ্কাজনক অবস্থায় যুবতৃণমূল কংগ্রেসের পরাজিত প্রার্থী পারুলি লস্কর, সেরিনা লস্কর, আইমনি সেখ ও মিনারা লস্কর ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে কাঁঠালবেড়িয়া গ্রামপঞ্চায়েতের ৮৭ নম্বর বুথে গ্রাম সভায় তৃণমূল (যুব) কংগ্রেসের টিকিটে প্রার্থী হয়েছিলেন পারুলি লস্কর। অন্যদিকে মাদার তৃণমূল সমর্থিত নির্দল প্রার্থী ছিলেন সার্জিনা লস্কর। পারুলি মোল্লা ৮০ ভোটে পরাজিত হয় মাদার তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থীর কাছে। কিন্তু ভোটে জেতার পর থেকে বিজয়ী প্রার্থীর দলবল ভোটে জেতার পর থেকে নানা ধরনের হুমকি দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। রবিবার উত্তর ভাঙনখালি গ্রামে দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ বাধে। অভিযোগ পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে হাজির হয় বাসন্তী থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। অভিযোগ মাদার তৃণমূল আশ্রিত বাবলু লস্কর, সার্জিনা লস্কর, মোসাম্মা লস্কর ও সোরাফ লস্করের নেতৃত্ব শতাধিক লোকজন রাতেই পারুলি লস্করের বাড়িতে চড়াও হয়। তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। পাশাপাশি চুলের মুঠি ধরে মাটিতে আছাড় ফেলা হয় বলে অভিযোগ। সেই সময় তাকে বাঁচাতে এলে আরো তিনজন মহিলা গুরুতর জখম হন। আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের ওই চারজন মহিলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পারুলি মোল্লার দাবী, যুব তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়াই করার অপরাধে বাড়িতে চড়াও হয়ে মারধর করা হয়েছে । এই ঘটনায় তিনি সরাসরি অভিযোগের আঙুল তুলেছেন স্থানীয় মাদার তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের দিকে । যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ প্রত্যাশিত ভাবেই অস্বীকার করেছে মাদার তৃণমূল নেতৃত্ব । তাদের দাবী এটা নিছক পারিবারিক ব্যাপার। তাছাড়া যারা অভিযোগ করছে,তারা আরএসপি বিজেপি করে। তৃণমূল কংগ্রেসকে বদনাম করার চক্রান্ত করে এমন সব নাটক করছে।
অন্যদিকে কাঁঠালবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান বুলা নসরিন জানিয়েছেন, প্রতিটা মুহূর্তে আমাদের কর্মীর উপর চড়াও হচ্ছে। পুলিশ সে ভাবে সক্রিয় নয় । সক্রিয় হলে বার বার এমন ঘটনা ঘটতনা। যারা এই ঘটনার সাথে যুক্ত তারা পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আরএসপি করত । পঞ্চায়েত নির্বাচনে নির্দল হয়ে ভোটে লড়াই করেছে। এলাকায় প্রতিদিনই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের ওপর তান্ডব চালাচ্ছে। ঘটনার বিষয়ে ক্যানিং মহকুমা পুলিশ আধিকারীক দিবাকর দাস কে জানিয়েছি। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হয়নি