গোটা ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে উদয়পুর মহকুমা শাসকের নির্দেশেও এনফোর্সমেন্ট টীম মির্জা বাজার অভিযান করে। বুধবার বাজারবার হওয়ায় অনেক লোক সমাগম হয়। মূলতঃ খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা এই অভিযান করে। অভিযানে প্রচুর পরিমাণে মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্য সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।
জনৈক ঠাকুর চন্দ্র সাহার দোকান থেকে প্রচুর পরিমাণ মেয়াদ উত্তীর্ণ ভোজ্য তেলের বোতল উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও ঐ দোকানদার পেঁয়াজের অধিক মূল্য দাবি করেন, বেশি মূল্য চাওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করলে কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি বা কোনো কাগজ পত্র মেমো দেখাতে পারেননি।
এরপর আধিকারিকরা জনৈক সংখ্যার মজুমদার এর দোকান থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণ পাপড়ের প্যাকেট, চা পাতার প্যাকেট, রাম ঠাকুর স্টোর থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণ চা পাতার প্যাকেট, শ্রী গুরু ভান্ডার থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণ সসের বোতল এবং মনোরঞ্জন নন্দীর দোকান থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণ কেক -এর প্যাকেট এবং সুব্রত দাসের দোকান থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণ বিস্কিট এর প্যাকেট উদ্ধার করেন।
এছাড়াও জনৈক আশীষ মজুমদার -এর দোকানে কোনও প্রকার লাইসেন্স দেখাতে পারেননি এবং ওজন বাটখারার ও কোনও কাগজ দেখাতে পারেননি, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্যে ওজন বাটখারা দপ্তরের অফিসারকে জানানো হয়েছে। এই নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট বৃহস্পতিবার মহকুমা শাসকের কাছে পেশ করা হবে।।
জানা গেছে মহকুমা শাসক সবাইকেই নোটিশ দেবেন ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। আজকের এই অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন মুখ্য খাদ্য পরিদর্শক দেবজ্যোতি চক্রবর্তী। এছাড়াও খাদ্য দপ্তরের পক্ষে বাবুল দেবনাথ, লিটন দাস, শেখর মজুমদার, রাজেশ ভৌমিক প্রমুখ ছিলেন।আধিকারিকরা জানিয়েছেন এই ধরণের অভিযান প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিটি বাজারে জারী থাকবে।