সংবাদ কলকাতা: ডেঙ্গু নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ছে কলকাতা পৌর সংস্থার। এলাকায় এলাকায় ঘুরে যখন ডেঙ্গু প্রতিহত করতে রাস্তায় ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। তখন কলকাতা পৌর সংস্থার জরুরি বৈঠক করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাঁর নেতৃত্বে এদিন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুব্রত রায় চৌধুরী, ১৬টি বোরো স্বাস্থ্য আধিকারিক সহ জঞ্জাল অপসারণ বিভাগের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করলেন মেয়র। বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে মেয়র পারিষদ স্বাস্থ্য বিভাগ অতীন ঘোষ জানান, মেয়র ডেঙ্গু নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন। তিনি জানান যে, পৌর সংস্থাকে টাকা খরচ করে পরিষ্কার করতে হচ্ছে। অথচ কিছু অসচেতন মানুষ যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলছেন। মেয়র নির্দেশ দিয়েছেন, যেসব অঞ্চলে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে, তাঁদের প্রত্যেকটি বাড়িকে নোটিশ দেওয়া হবে। তারপরেও তাঁরা না মানলে তাঁদেরকে জরিমানা করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান ডেপুটি মেয়র।
তিনি আরও জানান, মেয়র ডি জি বিল্ডিং-কে নির্দেশ দিয়েছেন যে, ৪৯৬ পৌর আইন অনুযায়ী স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে প্রথমে নির্মাণাধীন বিল্ডিংগুলিকে নোটিশ করা হবে। তারপরেও ব্যবস্থা না গ্রহণ করা হলে ৪০১ ধারায় নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে। আর এই কাজে যদি বিল্ডিং বিভাগের কোনও কর্মী বা আধিকারিকদের গাফিলতি থাকে, তাঁদেরকে শো কোজ করা হবে বলে জানান অতীন ঘোষ। এছাড়া তিনি জানান যে, ডেঙ্গু পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে খিদিরপুর আরবান হেলথ সেন্টারে ফিভার ক্লিনিক করা হবে। এখানে অতিরিক্ত ৪০টি বেড বৃদ্ধি করা হবে। পাশাপাশি, সেন্ট্রাল এভিনিউ ইসলামিয়া হাসপাতালেও ১০০টি বেডের ডেঙ্গু ফিভার ক্লিনিক হিসাবে ব্যবহার করা হবে।
অতীন ঘোষ বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে খুব শীঘ্রই একটা হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হবে। এছাড়াও রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের অনুমতি নিয়ে সরকারি হাসপাতালগুলিতে কত সংখ্যক বেড ফাঁকা আছে, তার তথ্য সরকারি হাসপাতালের নিকট থেকে কলকাতা পৌর সংস্থা নেবে। তারই ভিত্তিতে কলকাতা পৌরসংস্থার পক্ষ থেকে রোগীদের রেফার করা সম্ভব হবে বলে জানান ডেপুটি মেয়র। এছাড়াও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে আধিকারিকদের মধ্যে যোগাযোগ তৈরি করা হবে। ডেপুটি মেয়র জানান যে, এই মুহূর্তে শহরজুড়ে ৩৭০০ মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
তিনি বলেন, মৃত্যুর তিনটে কারণ থাকে। কী কারণে রোগীর মৃত্যু হল তার কারণ স্বাস্থ্য দফতর নির্ধারণ করে। তিনি এদিন স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যানের সঙ্গে কলকাতা পৌর সংস্থার মিল না থাকার কারণ হিসাবে জানান, যেহেতু স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট-এর এক সপ্তাহ পর কলকাতা পৌর সংস্থার রিপোর্ট প্রকাশ্য আসে। তাই সংখ্যায় কিছু হেরফের থাকে। তবে ডেঙ্গির সংখ্যা যে বাড়ছে, সেটা আবার স্বীকার করে নিলেন ডেপুটি মেয়র ও মেয়র পারিষদ স্বাস্থ্যবিভাগ অতীন ঘোষ।
previous post