18 C
Kolkata
January 21, 2025
রাজ্য

শশ্মানভূমি দখল করেছে জমি মাফিয়ারা

বীরভূম, ১৬ জানুয়ারি : কোপাই নদী দখল করে বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করে দিল বীরভূম জেলা শাসক৷ এদিন, কোপাই তীর পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। জানা গিয়েছে, সরকারের কোনওদের দপ্তরের অনুমতি ছাড়াই ঐতিহ্যবাহী কোপাই নদীবক্ষ দখল করে বৃহৎ নির্মাণ চলছিল৷ খোয়াই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিল প্রশাসন।

সদ্য ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা পেয়েছে শান্তিনিকেতন। সেই শান্তিনিকেতনের গোয়ালপাড়ায় ঐতিহ্যবাহী কোপাই নদীর পাড় থেকে শুরু করে নদীবক্ষ দখল করে নির্মাণ চলছিল৷ কবিগুরুর একাধিক লেখনীতে স্থান পাওয়া ‘আমাদের ছোট নদী’ বেদখল নিয়ে সরব হয়েছিলেন সকলেই৷ অভিযোগ, শাসক দল তৃণমূল নেতাদের মদতেই কোপাই নদীবক্ষে নির্মাণ চলছিল৷


তারপরেই কোপাই নদীর তীর পরিদর্শনে আসেন বীরভূম জেলা শাসক বিধান রায়, অতিরিক্ত জেলা শাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) অসীম পাল, বোলপুর মহকুমা শাসক অয়ন নাথ, বোলপুর ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক সঞ্জয় দাস, সেচ বিভাগের আধিকারিক শিবনাথ গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখ। এমনকি, নদীর তীর সহ বেআইনি নির্মাণ স্থান মাপজোক করে দেখা হয়৷ পরে এই কাজ বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন জেলা শাসক। পাশাপাশি, কোপাই নদীর পাড় যাতে বেদখল না হয়, বেআইনি নির্মাণ না হয় তা দেখার জন্য অন্যান্য আধিকারিকদের নির্দেশ দেন জেলা শাসক।


উল্লেখ, ২০১৩ সালে শিল্পী যোগেন চৌধুরী খোয়াই বাঁচাতে একটি মামলা করেছিলেন৷ সেই মামলায় সুপ্রিমকোর্ট ১১ টি মৌজায় নির্মাণে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল৷ তারমধ্যে মধুসূদনপুর মৌজা পড়ছে, সেই মৌজার অন্তর্গত জায়গাতেই কোপাই দখল করে বেআইনি নির্মাণ হচ্ছিল৷ সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশকে হাতিয়ার করেই জেলা শাসক নির্মাণ বন্ধ করে দেন।

বীরভূম জেলা শাসক বিধান রায় বলেন, “আমরা ঘুরে দেখলাম৷ নদীর গতিপথ বদল হয়েছে। তবে এখানে যে নির্মাণ হচ্ছে তার কোন অনুমতি নেই৷ তাই নির্মাণ বন্ধ করে দেওয়া হল৷ পরবর্তীতে যারা এই কাজ করছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হল।”

Related posts

Leave a Comment