27 C
Kolkata
April 9, 2025
রাজ্য

শরৎচন্দ্রের বুকে বাঁশ ও গলায় দড়ি, সরব তথাগত

সংবাদ কলকাতা: নিজের জেলা হুগলিতে করুণ দশা কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের। তাঁর মূর্তিতে বুকে বাঁশ ও গলায় দড়ি পরানো হয়েছে। হুগলির ভদ্রেশ্বরে ঘটেছে এই ঘটনা। জানা গিয়েছে, মনীষীদের ওপর ন্যূনতম শ্রদ্ধাবোধ নেই। কোনও এক প্যান্ডেল বাঁধার কাজে ব্যবহৃত হয়েছে তাঁর মূর্তি। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, কথা সাহিত্যিকের মূর্তিতে গলায় দড়ি পরিয়ে বুকের কাছে বেদির ওপর বাঁশ বাঁধা হয়েছে। ছবিটি রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে। নিন্দার ঝড় উঠেছে সামাজিক মাধ্যমে।

রাজ্যের প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি তথাগত রায় এই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন। তিনি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে সেই ছবি পোস্ট করে ট্যুইট করেছেন। লিখেছেন, “শরৎচন্দ্রের নিজের জেলা হুগলীতে ভদ্রেশ্বরের দৃশ্য। শরৎ চাটুজ্যে মহাশয়ের গলায় দড়ি ও বুকে বাঁশ দেওয়া হয়েছে। তোলাবাজ ও ঘুষখোরদের রাজত্বে বাঙালি হিন্দুর মূল্যবোধ এইখানে পৌঁছেছে।”
সঙ্গে সঙ্গে সেই পোস্ট ভাইরাল হয়ে যায়। প্রচুর লোক নিন্দা করেছেন। অনেকেই নানারকম মন্তব্য করেছেন।

#সেতু কীর্তনিয়া বলেন, “তোলামূলেরা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙে @BJP4Bengal এর ঘাড়ে দোষ চাপানোর মতন ভাগ্যিস এটার জন্যও তোলামূলোরা বিজেপি-কে দায়ী করেনি!!”

#অমিত কেজি বলেন, “এ জিনিস বাম আমল থেকেই শুরু হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, সুকান্তকে নিয়ে ‘রসুন সন্ধ্যা’। বামেদের মতে শরৎচন্দ্র ও বঙ্কিমচন্দ্র সেকুলার নন। ‘বুর্জোয়া কবি’ নোবেল পেয়েছিলেন বলে রবীন্দ্রনাথকে অস্বীকার করা যায় নি।
আর বর্তমান মুলো-যুগে ‘এপাঙ অপাং’-র রচয়িতা বিরাট লেখকের মর্যাদা পেয়েছেন।”

#শ্যামল নামে আরও একজন মন্তব্য করেছেন, “সত্যিই কিছু বলার নেই! যারা প্যান্ডাল বেঁধেছে তারা হয়তো অল্প শিক্ষিত, আশেপাশের লোকজনও কি সবাই মূর্খ?”

#সৌম্যদীপ ঘোষ লিখেছেন, “কি হবে বলুন তো কি হবে? যতদিন মোদির দিদি সেটিং চলবে ততদিন ভাইপো arrestও হবে না, যারা গ্রেপ্তার হয়েছিল মানিকের স্ত্রী, পুত্র, প্রসন্ন রায় যে নাকি কিং পিন, জামিন পেয়ে যাবে। সারদা case 10 বছর ধরে চলছে, একবারও মোদি শাহ তাদের CBI, ED-র কাছে জানতে চেয়েছে, কবে শেষ হবে? আদালত না থাকলে…”

#অসীম কুমার দত্ত লিখেছেন, “বাঙালী জাতটাই তো নচ্ছার, তা মনীষীদের এমন দশাই তো হবে।”

#আবার ঘটনার বিরোধিতা করে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সদস্য কিশলয় ব্যানার্জী। তিনি তথাগত বাবুর উদ্দেশ্যে প্রশ্নবাণ ছুঁড়ে দেন, “আপনি কি করে এই সিদ্ধান্তে আসছেন???”

Related posts

Leave a Comment