সংবাদ কলকাতা: বুধবার রাজ্যপালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কট করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। উল্লেখ্য, রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস এর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে রাজ্য সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর। সেখানে বিরোধী দলনেতার আসনের ব্যবস্থা করা হয় দুজন দলবদলু বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী ও বিশ্বজিৎ দাসের চেয়ারের পাশে। যাঁদের বিধায়ক পদ নিয়ে মামলা চলছে। যে কোনও সময় তাঁদের পদ চলে যেতে পারে।আর এহেন নীতিভ্রষ্ট লোকদের পাশে তাঁকে বসার আসন নির্দিষ্ট করা হয়। যে ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন শুভেন্দুবাবু। তিনি এদিন বিধানসভায় পৌঁছলেও বয়কট করেন শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। তারপরেই বিস্তারিত ট্যুইট ও সাংবাদিক সন্মেলন করে বলেন, মমতা ব্যানার্জির নির্দেশেই এরূপ ব্যবস্থাপনার দ্বারা রাজনীতি করা হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে রাজ্যপালের অনুমতি নিয়ে উনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নেব।
শুভেন্দু জানান, ‘শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে আমি এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি কার্যত রাজ ভবনের গেট থেকে ফিরে এসেছি। আমরা সাড়ে ১০টার মধ্যে কাছাকাছি চলে গিয়েছিলাম। কেন এই সিদ্ধান্ত, তার জন্য একটি ট্যুইট করেছি। যাতে কোনওভাবে ভুল বার্তা না ছড়ায় এবং সত্য উদ্ঘাটিত হয়।’
তিনি তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘আমন্ত্রিতদের তালিকা তৈরি থেকে, বসার ব্যবস্থাপনা, সব কিছু কোম্পানির মালিক করেছেন। এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক অনুষ্ঠান। কোনও রাজনৈতিক লাভ-ক্ষতি নেই। এই অনুষ্ঠানে বিধানসভার অধ্যক্ষ, তিন-চার জন মন্ত্রী আমন্ত্রিত ছিলেন। তার বাইরে দু’জন বিধায়ককে আমন্ত্রণ করা হয়েছে। এঁরা কারা, নাম বলতে চাই না। বিজেপির টিকিটে ভোটে জিতে বিধানসভায় বিজেপি এবং বিধানসভার বাইরে তৃণমূল। তাঁদের মধ্যে একজন লজ্জা ছেড়ে আবার বনগাঁ তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলার সভাপতি। এঁদের কোন প্রোটোকলে ডাকা হয়েছে? যদি ধরে নিতাম ২৯৪ জন বিধায়ক আমন্ত্রিত, তাহলে এই প্রশ্ন করতাম না। এই নিকৃষ্ট রাজনীতির সাক্ষী থাকল বাংলা।’
previous post