সুভাষ পাল, কলকাতা :বাংলার দুর্গাপুজোকে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। আন্তর্জাতিক সংস্থাকে ধন্যবাদ জানাতে রাস্তায় নামলেন মমতা। রাজ্যজুড়ে দলের নেতা মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে যখন দুর্নীতি নিয়ে একাধিক অভিযোগে সরকার জর্জরিত, তখন শহরে আয়োজন করলেন এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার। শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে পূর্ব ঘোষণামতো ১লা সেপ্টেম্বরেই গোটা শহর জুড়ে এই শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার এই মিছিলে মানুষের ভিড় চোখে পড়ার মতো। যাঁর নেতৃত্বে ছিলেন মুৃখ্যমন্ত্রী নিজেই। জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়ি থেকে এই শোভাযাত্রা শুরু হয়। মুখ্যমন্ত্রীর পিছনের সারিতে ঢাকিরা বাজান ঢাক, মহিলারা দেন উলুধ্বনি। এইভাবে মিছিল শেষ হয় রেড রোডে গিয়ে। সঙ্গে ছিল কড়া পুলিশি নিরাপত্তা। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী সহ শীর্ষ
প্রশাসনিক কর্তারা। কিন্তু এই শোভাযাত্রা শুধু কলকাতা শহরেই থেমে থাকেনি। রাজ্যের প্রতিটি জেলাতেই আলাদা করে এই শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। এদিকে রেড রোডে অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ইউনেস্কোর প্রতিনিধিরা। তাঁদের সম্বর্ধনা দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি মমতা বলেন, আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর কলকাতায় পুজো দেখতে আসবেন ইউনেস্কোর একদল প্রতিনিধি। ইউনেস্কোর সাপোর্ট আমাদের অনুপ্রেরণা দিয়েছে। আবেগের আরেক নাম দুর্গা পুজো। আজকের এই অনুষ্ঠান ঐতিহাসিক। একতাই আমাদের ধর্ম।
তবে এই অনুষ্ঠান নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে নানান জল্পনা। কেউ কেউ ভাবছেন, দুর্নীতি থেকে নজর ঘোরাতেই ঘটা করে এই শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। আবার কারও মতে, দুর্গাপুজোর বিসর্জন নিয়ে নানান অভিযোগ করেছে, বিজেপির নেতা কর্মীরা। এমনকি সংসদেও বিষয়টি উত্থাপন করেছে গেরুয়া শিবির। জনমানসে মমতা সেই অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ করতেই এই ব্যয়বহুল শোভাযাত্রার আয়োজন করেছেন। সংবাদ কলকাতার ফেসবুক পেজে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, ২ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে।
previous post