শঙ্কর মণ্ডল: ঔপনিবেশিক পরিকাঠামোর পরিবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে ভারতের রাজনীতিতে অবস্থান করা রাজনৈতিক দল হল ভারতীয় জনতা পার্টি। যদিও এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা ও কর্মীরা এই কঠিন বিষয় নিয়ে কোনও ধারণাই সংগ্রহ করতে পারে নি। যাই হোক, সেটা আমাদের দুর্ভাগ্য। কিন্তু আজ মোদী সরকার এই ব্রিটিশ আইন বদলের জন্য যে বিল নিয়ে এসেছে, তা একদিকে ঐতিহাসিক ও অন্যদিকে এই দেশের কংগ্রেস সিপিএম সহ দলগুলোর মুখোশ খুলে দিয়েছে।
সুতরাং ভারতের মানুষের কাছে আজ সরাসরি দুটো পক্ষ একটা দেশের স্বার্বভৌমত্ব রক্ষাকারী শক্তি ও আর একটা দেশবিরোধী শক্তি ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের সমর্থক। আর গরুখেগো কমরেড বিকাশের নেতৃত্বে তথাকথিত কমিউনিস্ট আইনজীবীরা রে রে করে উঠেছে। ত্রুটি কিছু আছে। কিন্তু এইরূপ একের পর এক মোদী সরকারের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত আমাদের গর্বিত করেছে। আর এহেন পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ আছে পশ্চিমবঙ্গেই। পঞ্চায়েত নির্বাচনের জঘন্য সরকারি পদক্ষেপ যা এই মুহূর্তে বোর্ড গঠনের জন্য গ্রহণ করা হচ্ছে। তা যথেষ্ট বেদনাদায়ক। কেবল দখলদারিত্বের জন্য চলছে ব্যাপক বোমাবাজি ও অপহরণ।
আর বাংলার শিক্ষাঙ্গন যে সরাসরি দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে, তা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্ন দ্বীপের স্বপ্ন ভঙ্গ বা মর্মান্তিক মৃত্যু বাংলার অনুপ্রাণিত ছাত্র নামের আড়ালে অবস্থিত খুনিদের উপস্থিতিই প্রমাণ করে। আসলে আজ সর্বত্রই বিরাজ করছে কেবল অনুপ্রাণিত দুষ্কৃতীকারীরা। তাই আসুন লড়াই হোক তীব্র থেকে তীব্রতর।
লেখক সংযুক্ত হিন্দুফ্রন্টের সভাপতি। এই প্রবন্ধের সমস্ত মতামত তাঁর ব্যক্তিগত।
previous post