32 C
Kolkata
August 2, 2025
রাজ্য

রেইনম্যানের বাঁশিতে নামল বৃষ্টি

সংবাদ কলকাতা: অবিশ্বাস্য! অকল্পনীয়! অভাবনীয়! আরও একবার Rainman প্রমাণ করে দিলেন সংগীতের মাধ্যমে প্রকৃতিকেও বশ করা যায়। গত ৫ই জুন শিলিগুড়ি নিকটস্থ বেলাকোবার শিকারপুর চা বাগানে মাত্র একটি রাত বাঁশি বাজানোর ফলে ভোর থেকে শুরু হয় ঝম ঝমা ঝম বৃষ্টি। সমস্ত উত্তরবঙ্গে কোথাও বৃষ্টি হয়নি। ধারে কাছে কোথাও মেঘ ছিল না। রেনম্যানের দাবি, চীন থেকে মেঘ এসে বৃষ্টি করে দিয়েছে। এই চাঞ্চল্যকর অবিশ্বাস্য ঘটনা পাঠকরা বিভিন্ন চ্যানেলে দেখে থাকবেন। শিকারপুর ‘টী’ স্টেটের মালিক রেইনম্যানকে শীতকালে বৃষ্টি করার জন্য আহবান করেন। এব্যাপারে খুব শীঘ্রই একটি চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হবে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি। বৃষ্টির আকালে চা বাগানগুলো শেষ হয়ে যেতে বসেছে। চাকরি খোয়াতে বসেছেন প্রায় বিশ হাজার কর্মী। এটা শুধু বাংলায়। আসাম ও নেপালের কথা না ধরেই। চা বাগানের উপরে ভারতের অর্থনীতি অনেকটাই নির্ভরশীল। RAINMAN বললেন, উনি থাকতে চা বাগানকে কখনওই রুগ্ন হতে দেবেন না।

ফিরে আসা যাক কলকাতায়। উত্তরবঙ্গ থেকে ৮ই জুন সস্ত্রীক কলকাতার যাদবপুরে ফেরেন RAINMAN, এসেই দেখেন অসহ্য গরম। পাখার হাওয়াও যেন শত্রু। অগত্যা অর্ধাঙ্গিনীর বায়না রাখতে গিয়ে রেইনম্যানকে আরেকটা বড় চ্যালেঞ্জ কম্প্রোমাইজ করতে হল। সেটা হল সমস্ত সাইক্লোনকে বাংলাদেশ এবং আসামের দিকে পাঠানো। এই কারণেই RAINMAN কলকাতায় বাঁশি বাজাচ্ছিলেন না। অথচ উনি বাঁশি বাজালেই বর্ষাকালে মেঘ না এসে পারে? যেখানে শীতকালে বৃষ্টি হয়, সেখানে বর্ষাকালে তো উনার বাঁশির ফুঁ-এর অপেক্ষামাত্র l ‘সংবাদ কলকাতা’র তরফে ওনার সাথে যোগাযোগ করা হয়েছিল আরেকটা বৃষ্টির প্রোগ্রামের জন্যl তখনই উনি জানিয়েছিলেন যে গত ৩১শে মে উনি facebook লাইভ করেছিলেন। যেটা যে কেউ ওনার পেজ Luring the Rain Gods-এ দেখতে পাবেন। সেখানে শুনে নিন, উনি বলছেন উনি ফেসবুক লাইভ করলেই সাইক্লোন তৈরি হয়। অবশ্য সাইক্লোনের অনুকূল পরিবেশের সময়কালেl যেহেতু মে জুন এবং অক্টোবর নভেম্বর সাইক্লোনের অনুকূল সময়, সেহেতু উনি ফেসবুক লাইভে বলছেন যে, তাঁর বাঁশি যদি কেউ শেয়ার করে থাকে, তবে সাইক্লোন তৈরি হবে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় ওই ৩১ এর মেয়ের লাইভ প্রোগ্রাম এর পরে পরেই দুটি জোড়া সাইক্লোন তৈরি হলো। একটি বিপর্যয় আরেকটি তেজ রেনমেন জানান যে তিনি আশা করেছিলেন সাইক্লোনটা তৈরি হয়ে বাংলাদেশের দিকে যাবে ঠিক যেমন ৩১ বছরের রেকর্ড ভেঙে সাইক্লোন ঢুকেছিল –শীত্রাং এবং পরে পরেই মোকা সংবাদ কলকাতায় এর আগেই বিস্তারিত পরিবেশিত হয়েছিল আইলার পরে পরে হুদহুদ বুলবুল ইয়াাস আমফান ফণী সমেত মোট বারোটার উপর শক্তিশালী ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছিল।

কিন্তু গত ২০২১ দুর্গা পূজার পরে পরে শিলচরে বাঁশি বাজিয়ে আসেন রেন ম্যান। চারদিন ধরে বাঁশী বাজান একটি বিখ্যাত হোটেল ইলোরার ছাদে বসে। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল আসামে হিন্দুদের আটকে রাখার জন্য প্রতিবাদ করা। উনি হিমন্তকে রেকর্ডেড মেসেজ ও পাঠান। এবং বলেন আসাম থেকে হিন্দুদের যদি না ছাড়া হয় পুরো আসাম বন্যায় ভাসাবেন। এবং এই বছরও একটা সাবধান বাণী দিয়ে রেখেছেন গতবারের চেয়েও আরও বড় মাপের বন্যা আসাম দেখতে চলেছে। এই কারণেই রেনবেন চাইছিলেন না কলকাতায় সাইক্লোনটা ঢুকুক বা কোনো নিম্নচাপ ঢুকুক। RAINMAN আবার পেশায় উকিলও বটে ,আসাম সরকারের কাছে রাইট টু ইনফরমেশন এক্ট অনুযায়ী জানতে চেয়েছিলেন আসামে ডিটেনশন ক্যাম্পগুলোতে কতজন হিন্দু এখনো বন্দী আছে বলা বাহুল্য আসাম সরকার উত্তরে জানিয়েছে এই রেকর্ড নাকি তাদের কাছে নেই। রেনম্যানের বক্তব্য হল এপারে জিহাদ ওপারে জেল তাহলে কি হিন্দুদের ইসলামের শরণাপন্ন হতে হবে? এরকমভাবেই হিন্দুরাই হিন্দুদের অত্যাচার করে করে বাংলাদেশে আজ কুড়ি কোটি মুসলমান বানিয়েছে । তারা তো একসময় আমাদের ভাই ছিল এখন তারা কেন জিহাদী হয়ে হিন্দুদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে?? হিমন্তের মতো অবিমৃস্যকারী হিন্দুদের জন্যই আজকে ভারতবর্ষে এত জিহাদীর বাড় বাড়ন্ত। অষ্টমীতে বাংলাদেশে মা দুর্গার প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে আক্রমণ হয়েছিল।

প্রতিবাদে পরের দিন ই উনি ফ্লাইট ধরে শিলচরে যান ওনার উদ্দেশ্য ছিল একটা সাইক্লোন বাংলাদেশের ঢোকানো সাইক্লোন বাংলাদেশে ঢুকেছিল বটে কিন্তু ততক্ষণে নিম্নচাপ হয়ে আসাম এবং বাংলাদেশ ভাসিয়ে দিয়ে গেছে বাংলাদেশের হিন্দু নির্যাতন এবং ভারতবর্ষে হিন্দুদের বন্দি করার প্রতিবাদে রেল ম্যান তার অস্ত্র বাঁশী নিয়ে নেমে পড়েছেন কিন্তু এর মধ্যে অর্ধাঙ্গিনীর কথা তো রাখতেই হয় তাই সংবাদ কলকাতা কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উনি বাঁশি নিয়ে যাদবপুরে বসে পড়েছেন এবং কয়েক ঘন্টার মধ্যেই বৃষ্টি হবে বলে দাবি করেছিলেন।

দিয়েছেন কলকাতা বাসিকে বহু প্রতীক্ষিত স্বস্তি। সংবাদ কলকাতার তরফে আবহাওয়ার রিপোর্ট নেয়া হলো ।বলা বাহুল্য আবহাওয়া দপ্তর বলেছিল কলকাতায় জুনের তৃতীয় সপ্তাহের আগে কোন বৃষ্টি নেই। তিনি আরো জানান উনি শীঘ্রই আবার শিলচরে যাবেন এবং তার উদ্দেশ্য বাংলাদেশ এবং আসামকে বন্যা কবলিত করা, তাদের হিন্দু নির্যাতনের জন্য শাস্তি দেওয়া। এরপরে আরও এক চাঞ্চল্যকর খবরের জন্য চোখ রাখুন সংবাদ কলকাতার নিউজ পোর্টালে।

Related posts

Leave a Comment