April 12, 2025
জেলা

রানাঘাটে একটি প্রাচীন বিষ্ণুমূর্তি নিয়ে পুরাতত্ত্ব বিভাগের সঙ্গে গ্রামবাসীদের সংঘাত

নদীয়া: শতাব্দী প্রাচীন নদীয়ার রানাঘাট থানার আনুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের লাইব্রেরী মাঠের পাশে বটবৃক্ষের নিচে রয়েছে একটি বিষ্ণুমূর্তি। কথিত আছে, এক চাষী চাষ করার সময় লাঙ্গলের ফালে বিঁধে উঠে আসে মূর্তিটি। কিছু দিন আগে এই মূর্তিটি দেখে গিয়েছিল পুরাতত্ত্ব বিভাগ। অবশেষে আজ প্রশাসনিক আধিকারিক ও জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিকের তত্ত্বাবধানে ওই মূর্তি নিয়ে যাবার জন্য আসলে সকাল থেকে দফায় দফায় স্থানীয়দের ক্ষোভ বিক্ষোভ শুরু হয়।

পুরাতত্ত্ব বিভাগের আধিকারিক বিপ্লব রায়। তাঁকে এবং প্রশাসনকে গো ব্যাক স্লোগান তোলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে আনুলিয়ার ঐতিহ্য পরম্পরা এবং এই মূর্তির সঙ্গে ভক্ত ও অনুরাগীদের আবেগ জড়িয়ে আছে। তাই তাঁরা এই মূর্তি কোনওভাবেই এখান থেকে কোনও সংগ্রহশালায় নিয়ে যেতে দেবেন না। রাজনীতির উর্দ্ধে উঠে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের একটাই দাবি, এই মূর্তি তাঁরা এখান থেকে অন্যত্র নিয়ে যেতে দেবেন না।

খবর পেয়ে ছুটে আসেন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শম্পা বিশ্বাস, স্থানীয় তৃণমূল, বিজেপি এবং সিপিআইএম নেতৃত্বরা। আসেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুন্ডু, দীপক বসু, আনন্দ দে সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। এবিষয়ে পুরাতাত্ত্বিক বিভাগের আধিকারিক বিপ্লব রায় বলেন, আমরা এখন মানুষের সাথে আলোচনার মধ্যে একটা সমাধান সূত্র বের করছি। তবে এই মূর্তি সরকারি অর্ডারে কলকাতায় কোনও মিউজিয়ামে সংরক্ষণ করে রাখা হবে। এর পাশাপাশি তিনি বলেন, এই অঞ্চলে ওই মূর্তির প্রতিকৃতি এখানে করে দেওয়া হবে। এছাড়া মন্দির করে দেবার কথাও তিনি জানান।

Related posts

Leave a Comment