কালো কাপডে় ঢাকা মুখ৷ হাতে ধারালো ছুরি৷ রাতের অন্ধকারে মোটর সাইকেলে ঘুরে মহিলাদের খুঁজে তাদের ওপর হঠাৎ হামলা! এ যেন এক ফিল্মি কায়দা৷ পর পর তিন দিনে তার ‘শিকার’ হয়েছেন দুই মহিলা৷ তৃতীয় আক্রমণের আগেই বৃহস্পতিবার বারাসাত পুলিশ ধরে ফেলেছে সেই দুষ্কৃতীকে৷ বারাসাত পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃত ব্যক্তির নাম বিশ্বজিৎ কর্মকার, বয়স একচল্লিশ এবং তিনি নীলগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা৷ শুক্রবার ধৃতকে বারাসাত আদালতে পেশ করা হয়৷
বারাসাতে গত সোমবার থেকে মহিলাদের উপর অতর্কিত আক্রমণের ঘটনা ঘটছে৷ তিন দিনে দুবার দুই মহিলার উপর আক্রমণ হয়েছে৷ আক্রমণের পদ্ধতিও এক! অর্থাৎ দুজনেরই বুকে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে৷ চলন্ত মোটরসাইকেলে আসেন ওই দুষ্কৃতী অন্ধকার স্থানে কোনো মহিলাকে একা পেলেই তার বুকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যান৷ উভয় ক্ষেত্রেই দুষ্কৃতীর মুখ ঢাকা ছিল কালো কাপড় দিয়ে৷ আহত মহিলারা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷ খবর পাওয়া মাত্রই তদন্তে নামে বারাসত থানার পুলিশ৷ সিসিটিভি ফুটেজ, স্থানীয় এবং আহত মহিলাদের বিবরণের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বারাসতের নবপল্লি রামমন্দির এলাকা থেকে সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের সময় ওই ধৃত ব্যক্তি স্বীকার করে নেন যে তিনিই এই কাজ করছিলেন৷ যদিও এই কাজ করার নেপথ্য কারণ কি, তা বলেন নি ধৃত ব্যক্তি৷ তিনি মানসিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ নন বলে জানা গিয়েছে৷
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রথম ঘটনাটি ঘটে সোমবার৷ বারাসত পুরসভা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নবীন পল্লি এলাকায় ঝুমা সাহা নামক এক মহিলা আহত হন৷ বুধবারও ঘটে তেমনই এক ঘটনা৷ মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে ফলে নড়েচড়ে বসে বারাসত পুলিশ৷ বারাসত থানার আইসি মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বৃহস্পতিবার বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেন৷ তাঁরা সিসিটিভি ক্যামেরার একাধিক ফুটেজ খতিয়ে দেখেন এবং আহত মহিলাদের বয়ান মিলিয়ে দেখতে থাকেন৷ এলাকার দিকে দিকে মোতায়েন করা হয় বাড়তি পুলিশ৷ শেষপর্যন্ত সাফল্য অর্জন করে বারাসত থানার পুলিশ৷ বৃহস্পতিবার পুলিশের ফাঁদে পা দেয় ওই দুষ্কৃতী৷
previous post