পান্ডবেশ্বর, ১৯ সেপ্টেম্বর: রাতের অন্ধকারে আইসিডিএস কেন্দ্রের তালা ভেঙ্গে চুরি গেল শিশুদের খাদ্য সামগ্রী। ঘটনাটি ঘটেছে পান্ডবেশ্বর বিধানসভার লাউদোহা গ্রাম পঞ্চায়েতের তিলাবনি গ্রামের পুরনো মসজিদ পাড়া এলাকায়। এখানে দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি। সেখানকার শিক্ষিকা শুভ্রা দালাল জানান, প্রত্যেক দিনের মতো আজও তিনি অঙ্গনওয়াড়িটি খুলতে এসে দেখেন দরজার তালা ভাঙ্গা। ভেতরে ঢুকতেই তিনি দেখেন, ১ কুইন্টাল ৭৫ কেজি চাল এবং ২৫ কেজি মুসুরির ডাল চুরি হয়ে গেছে। তিনি বলেন, এটা দেখে সঙ্গে সঙ্গে তিনি সেই এলাকার পাড়ার লোকেদের ডাকেন এবং লাউদোহা ফরিদপুর থানার পুলিশকে খবর দেন। ঘটনাস্থলে আসে লাউদোহা ফরিদপুর থানার পুলিশ। তিনি আরও জানান, তার কেন্দ্রের ২৫ কেজি মুসুরির ডাল চুরি গেছে। বাকি যে চাল চুরি গেছে, সেই চালটা ছিল পাশের ৪৬ নম্বর কেন্দ্রের। ৪৬ নম্বর কেন্দ্রের দিদিমনিরা ছুটিতে থাকাই তাদের চাল এই কেন্দ্রে রাখা ছিল বলে জানান তিনি। রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা তালা ভেঙে চাল ও মুসুরির ডাল নিয়ে চম্পট দেয়। এভাবে শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের ছোট ছোট শিশুদের খাদ্য সামগ্রী চুরির ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। কে বা কারা এই ধরনের নিকৃষ্ট কাজ করেছে তার তদন্ত শুরু করছে লাউদোহার ফরিদপুর থানার পুলিশ।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লক সভাপতি সুজিত মুখার্জি বলেন, বাচ্চা বাচ্চা ছেলে মেয়েদের খাবার জিনিস চুরি হয়েছে। সেজন্য বাচ্চাদের খাবার অসুবিধা না হয় তার জন্য তিনি ব্যবস্থা করবেন। পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনকে বলবেন দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে। তিলাবনি গ্রামের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সৈয়দ আশিক হোসেন বলেন, যে বা যারা এই নোংরা কাজটি করেছে প্রশাসনের কাছে অবিলম্বে তাদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
অন্যদিকে বিজেপির পশ্চিম বর্ধমান জেলার সহ সভাপতি ছোটন মুখার্জী জানান, পশ্চিমবঙ্গে গরু চুরি, বালি চুরি, কয়লা চুরির পর বাচ্চাদের খাবার জিনিস চুরি করতেও ছাড়ল না। পশ্চিমবঙ্গের পুলিশের যা কাজ, সেই কাজ না করে পুলিশ রাস্তায় দাঁড়িয়ে কয়লার গাড়ি, বালির গাড়ি, পাথরের গাড়ি ছাড়াও অন্যান্য গাড়ি থেকে তোলা তুলতেই ব্যস্ত। পুলিশের যে কাজ, তা যদি পুলিশ ঠিকভাবে করত, তাহলে এই ঘটনার খবর মানুষ শুনতে হতো না।
রাতের অন্ধকারে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের তালা ভেঙ্গে চুরি গেল চাল-ডাল
