সংবাদ কলকাতা: এবার ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ভোট পর্বের হিংসা নিয়ে তিনি আগেই বলেছিলেন রাজ্যে ৩৫৫ ধারা জারি করার সময় এসে গিয়েছে। তার জন্য তিনি যা করার করবেন। তিনি জানেন কিভাবে রাজ্যে ৩৫৫ ধারা জারি করতে হয়। এবার তিনি ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সোচ্চার হলেন এবং বললেন রাজ্যে পুনরায় ভোট পরবর্তী হিংসা শুরু হয়েছে। রাজ্য জুড়ে বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের ভয় দেখিয়ে এবং মারধর করে নির্বাচন থেকে সরে যেতে বাধ্য করছে শাসক দল। পরবর্তী সময়েও এর কোনও রকম ব্যতিক্রম হয়নি। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে খুন করা হচ্ছে বিরোধীদের।
পাশাপাশি, মারধর করে বিজয়ী সার্টিফিকেট কেড়ে নেওয়ারও চেষ্টা চালানো হচ্ছে। সারা রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি কর্মীদের বাঁচাতে তৈরি করা হয়েছে ‘সেফ হোম’। এ ঘটনা চলতে দেওয়া যায় না। তাই রাজ্যে অবিলম্বে ৩৫৫ ধারা লাগু করতে হবে। তার জন্য আমি যেকোন পথ অবলম্বন করতে রাজি। এদিকে, শুভেন্দুর এই বক্তব্যকে তীব্র আক্রমণ করে কুণাল ঘোষ বলেছেন, এ সবই বিজেপির সাজানো চিত্রনাট্য।
কুণালের এই বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে বিজেপির রাজ্য কমিটির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য তাঁর ব্যাখ্যায় বলেন, বাংলার সাধারণ মানুষ যা চাইছেন, সাধারণ মানুষের যা দাবি, সেটাই তুলে ধরা বিরোধী দলনেতার কাজ। তিনি সেটাই করছেন। সেটাই পথ। বিজেপির মুখপাত্র ৩৫৫ ধারা প্রসঙ্গে বলেন, ‘সারা রাজ্যের মানুষ তো এটাই চাইছে। যে পরিবারের সন্তান মারা গিয়েছে, সেই পরিবার চাইছে। যে বিরোধী দলগুলি আক্রান্ত হয়েছে, যাদের ব্যালট ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে, খেয়ে ফেলা হয়েছে, কালি ঢেলে দেওয়া হয়েছে, নর্দমায় ফেলে দেওয়া হয়েছে, তারা চাইছে। ভাঙড়ের মানুষ চাইছেন। দিনহাটার মানুষ চাইছেন। সর্বত্র এই পরিস্থিতি। সেই কথাই বিরোধী দলনেতা বলছেন। সাধারণ মানুষের বিরোধী কণ্ঠস্বরকে ঠিক জায়গায় পৌঁছে দেওয়ায় বিরোধী দলনেতার কাজ। তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন।’
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারির মতো পরিস্থিতি থাকলেও, তিনি ৩৫৬ ধারা জারির পক্ষপাতী নন। পরিবর্তে ৩৫৫ ধারা জারি করে যাতে তিন মাসের জন্য গ্রামাঞ্চলের থানাগুলিকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার আওতায় রাখা হয়, সেই দাবি তুলেছিলেন। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, গণতান্ত্রিক উপায়ে ভোটে জয়ের মাধ্যমেই বাংলায় পরিবর্তন আনতে হবে।
previous post
next post
