সংবাদ কলকাতা: সন্ত্রাসের প্রশ্নে কাউকেই রেয়াত নয়। এমনই কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি বলেন রাজ্যের কন্টোল রুমে বসে যারা সন্ত্রাসের মদত দিচ্ছে ছাড়া হবে না তাদের কাউকে। তিনি আরও বলেন রাজ্যে যারা সন্ত্রাস করছে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই। কারণ তারা ভবিষ্যত প্রজন্মের ক্ষতি করছে। ভবিষ্যত প্রজন্মকে সুরক্ষিত করা আমাদের কর্তব্য, আমরা তা করব। অতএব তিনি নাম না করে যে রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধেই তোপ দেগেছেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটের আগে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি নির্বাচন কমিশনারকে ‘রক্তাশূর’ বলে কটাক্ষ করেন এবং বলেন কমিশনার কৃষ্ণ সেজে কংসের মতো আচরণ করছেন। তার হাতে যে রক্তের দাগ লেগে আছে, গঙ্গা জলে ধুলেও তা উঠবে না। রাজ্যপালের এই মন্তব্যকে কটাক্ষ করে তৃনমুলের তরফে বলা হয়েছে রাজ্যপাল বিজেপি ক্যাডারের মত আচরণ করছেন। যা মোটেও কাম্য নয়। মুর্শিদাবাদের হিংসা কবলিত স্থান পরিদর্শনের সময় রাজ্যপাল বলেন আমি কোন পাবলিসিটি পাওয়ার জন্য কাজ করছি না। গণতন্ত্রের স্বার্থে আমি লড়ে যাব। তিনি রাজ্যবাসীকে বুলেটের জবাব ব্যালটে দিতে আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ভোটের পরদিনই রাজ্যপাল উড়ে গিয়েছিলেন দিল্লিতে। সেখানে তিনি সাক্ষাৎ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাথে। দিল্লি থেকে ফিরেই তিনি কোন রকম দেরি না করেই পুনরায় ময়দানে নেমেছেন তিনি। ঘুরে দেখছেন বিভিন্ন গণনা কেন্দ্রে। তার পরেই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে করা হুঁশিয়ারি দিয়ে কিসের ঈঙ্গিত দিলেন রাজ্যপাল? তাহলে কি রাজ্যে ১৫৫ ধারা লাগু করার দিকে এগোচ্ছেন তিনি?
previous post