29 C
Kolkata
August 2, 2025
রাজ্য

রাজ্যে শাসকের নির্লজ্জ সন্ত্রাস

শঙ্কর মণ্ডল: নির্বাচনের দিন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে শাসকের নির্লজ্জ সন্ত্রাস শুরু হয়ে গিয়েছে। আজ শাসন ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক দল নির্বাচকমণ্ডলীর কাছে যুক্তি ইস্যু এসবের ধার না ধেরে কেবল পেশি শক্তির মাধ্যমে ও নানারকম ভেট তো আছেই, এমনকি সরকারি সুযোগ সুবিধা প্রদান করার ক্ষেত্রেও শাসকের জয়কে অত্যাবশ্যক বিষয় হিসেবে ধার্য করছে। আর পুলিশ এখন একটা যন্ত্রচালিত রোবটে পরিণত হয়েছে। আর্টিকেল ১৯ অনুযায়ী, বিরোধীদের কোনও প্লেস দিতে এই রাজ্যের সরকারি দল একেবারেই রাজি নয়। আসলে রক্তকরবীর বিশু পাগলা বা নন্দিনীরা সত্য কথা বলেছিল বলে ওদের যা অবস্থা হয়েছিল, আজ ঠিক তেমনি কেউ সত্য কথা বললে তাঁরও ওই একই অবস্থা হবে।

পশ্চিম মেদিনীপুরের মৃত বিজেপি কর্মীর মায়ের চোখের জলের দাম কি দিতে পারবে এই তৃণমূল? আর হিরণকেও কি দেখা যাবে ভোটে জয়লাভের পর ঐ অসহায় মায়ের চোখের জল মোছাতে? প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা থেকেই এই কথাগুলো বলছি। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অভিজ্ঞতা ও আদর্শের প্রতি আস্থাশীল হওয়ার জন্য একরাশ অপমান মাথায় নিয়ে একদিকে শাসকের অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে এবং অন্যদিকে নিজের মতাদর্শের দলের আদর্শহীনতার বিরুদ্ধেও আমার কলম সর্বদা সচল থাকবে।

আসলে রাজনীতি একটা দেশপ্রেম। এখানে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করেই নেতা হতে হয়। সুতরাং এর জন্য দরকার সাধনার। বামপন্থী রাজনীতি এই মানুষের কাছে অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য। যদিও কমিউনিস্ট আদর্শ একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। কমিউনিস্ট ও বামপন্থার মধ্যে বিশাল পার্থক্য রয়েছে। আর কমিউনিস্ট শাসন এই রাজ্যের মানুষের কাছে এক তিক্ত অভিজ্ঞতা উপহার দিয়েছে। তার সঙ্গে দেশের আভ্যন্তরীণ গোপনীয়তা রক্ষা করা কমিউনিস্ট পার্টির মাধ্যমে কোনওভাবেই সম্ভব নয়। আর অ্যালান অক্টাভিয়ান হিউমের সৃষ্ট কংগ্রেসের জন্মটাই ছিল ব্রিটিশ সরকারের ইচ্ছায়। তাই ওদের দ্বারা ভারতের কল্যাণ সম্ভব নয়। আর তৃণমূলের এই দুই দশকের শাসন শুধু শাহাজাহানের মতো স্বাধীনতা সংগ্রামীর জন্ম দেবে।

তাই মানুষের শেষ অবলম্বন বিজেপি। কিন্তু এই মুহূর্তে এই দলের শীর্ষ নেতারা এমনকি অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে বাধ্য হচ্ছি, বর্তমান এই রাজ্যের সংঘের আধিকারিকরাও আদর্শকে গুরুত্ব না দিয়ে কেউ ভুল পথে ও কেউ অর্থের কাছে বা কেউ অন্য কিছুর কাছে আত্মসমর্পণ করে দল তো বটেই, এমনকি মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষাকেও জলাঞ্জলি দিয়ে চলেছে। বাকি থাকে ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশের আড়ালে চরম সাম্প্রদায়িক দল আইএসএফ। এটাই সবচেয়ে বড়ো ভয়। কারণ, রাজনীতি সম্ভবনাময়। তাই এই মুহূর্তে প্রয়োজন সমস্ত জাতীয়তাবাদী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করা। ভবিষ্যৎ ভবিষ্যতেই স্থির হবে। আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। কারণ এ লড়াই বাঁচার লড়াই। এ লড়াই অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। এ লড়াই বাংলার সংস্কৃতি রক্ষার লড়াই।

Related posts

Leave a Comment