শঙ্কর মণ্ডল: স্বাধীন ভারতের প্রথম শহীদ ভারতকেশরী ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর বলিদান দিবসে ডঃ মুখার্জীর মৃত্যু রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকারীর নাম জানতে চায় সারা ভারতবর্ষ। আর আজকের প্রতিবেদন লেখার শুরুতেই এই বাংলার স্রষ্টা ও জম্মু কাশ্মীরের মাটিতে এক প্রধান, এক বিধান ও এক নিশানের প্রতিষ্ঠাতা ভারতকেশরী ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীকে জানাই শতকোটি প্রণাম। কিন্তু এই বাংলার মানুষ কি এখনও প্রকৃত স্বাধীনতা পেয়েছে? কিংবা গণতান্ত্রিক অধিকার? সংবাদ মাধ্যমে আজ মানুষ যে ছবি দেখছে, তা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। কারণ সংবাদ মাধ্যমের একটা সীমাবদ্ধতা আছে। সমস্ত চ্যানেল মিলিয়েও যা ক্যামেরা আছে, তা কখনোই এই বৃহৎ বাংলার ১০ শতাংশ জায়গাতেও পৌঁছতে পারে না। আইন তার নির্দিষ্ট এক্তিয়ারের মধ্যেই সরকারকে নির্দেশ দেয়। কিন্তু এই নির্দেশ মানার ক্ষেত্রে এই রাজ্য সরকারের যথেষ্ট অনীহা আছে। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার এই রাজ্যে আইনের শাসন না থাকার অজুহাতে অবশ্যই ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করতে পারে। কিন্তু এই রাজ্যে প্রক্সি যুদ্ধে ব্যস্ত কংগ্রেস সিপিএম সমর্থন করবে? এখানেই আজকের প্রতিবেদনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে আলোকপাত করতে চাই।
বন্ধুগণ, আজ আমরা কি দেখলাম? আজ পাটনায় এই রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে বাঁচানোর জন্য এবং বাংলার বিরোধী ভোটকে বিভাজিত করার জন্য কংগ্রেস, সিপিএম এই রাজ্যে নাটক করছে, তা পরিষ্কার হয়ে গেল। পাটনার বৈঠকে একদিকে যেমন সর্বজ্ঞানী গণতন্ত্রের ধর্ষণকারী বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, ঠিক তেমনি সিপিএমের সর্বোচ্চ নেতা সীতারাম ইয়েচুরি ও অধীর চৌধুরী যতই মমতার বিরুদ্ধে গলা ফাটাক না কেন, তার সর্বোচ্চ নেতা রাহুল গান্ধী ও সর্বভারতীয় সভাপতি মাল্লিকার্জুন খাড়গে একসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করলেন। সেই সঙ্গে ছিলেন গরু চুরির অভিযোগে অভিযুক্ত অভিষেককে গরুর খাদ্য চুরি কিভাবে করতে হয়, তার পরামর্শ দেওয়ার জন্য প্রখ্যাত লালুপ্রসাদ যাদব। এছাড়া অনেক অপ্রাসঙ্গিক দলের প্রধানরাও ছিলেন। বিজেপি-র অনেক কাজ সমালোচনার উর্দ্ধে নয়। বিশেষ করে এরাজ্যে অযোগ্য নেতাদের দাপাদাপির ক্ষেত্রে। কিন্তু দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে এই মুহূর্তে বিজেপির কোনও বিকল্প নেই। বিভিন্ন সময় হিন্দুত্ববাদীরা নানা ধরণের বিকল্পের কথা বলতেই পারেন। কিন্তু নতুন রাজনৈতিক দল তৈরি করে এই অসভ্য বর্বর তৃণমূলের মোকাবিলা করা সম্ভব নয়।
সুতরাং সিপিএম ও কংগ্রেস কর্মীরা যেভাবে মারা যাচ্ছে ও এই রাজ্যের রাজনীতিকে ব্যবসা করা সিপিএম ও কংগ্রেস নেতাদের বিশ্বাস করে, তাঁদের প্ররোচনায় প্ররোচিত হয়ে তৃণমূল ও বিজেপি-র সেটিংয়ের তত্ত্বকে মানুষের কাছে প্রচার করার কাজ করছে ও দুষ্কৃতীদের সংগঠন তৃণমূলের কাছে মার খাচ্ছে, তাতে এদের আত্মোপলব্ধির প্রয়োজন আছে।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ লেখক সংযুক্ত হিন্দুফ্রন্টের সভাপতি। এই প্রবন্ধের সমস্ত মতামত তাঁর ব্যক্তিগত।