November 1, 2025
উত্তর সম্পাদকীয়

রাজ্যের অন্যতম অসভ্য ও অশিক্ষিত নেতা কুণাল ঘোষ

শঙ্কর মণ্ডল: এজেন্সী আইন মেনেই চলতে বাধ্য। তাই যদি কোথাও মনে হয় ইডি আইন ভেঙেছে, তাহলে আদালতে যেতেই পারে। আর নৈতিকতা এই শব্দটা বর্তমান রাজনীতিতে একেবারেই অদৃশ্য। তাই রুজিরা ব্যানার্জীর বিদেশ যাওয়া, তাতে মায়ের শরীর অসুস্থতার যে আবেগই থাকুক না কেন, যদি তাঁর আইনি অনুমতি না থাকে, তাহলে তাঁকে আটকাবে, এটাই স্বাভাবিক। আর একে কেন্দ্র করে রাজ্যের অন্যতম অসভ্য, অশিক্ষিত নেতা কুণাল ঘোষ যেভাবে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে তুই তোকারি করে, যেভাবে অশালীন বক্তব্য রাখলেন, তাতে রাজনৈতিক সৌজন্য বা নৈতিকতা একেবারেই নেই, এটাই বলা যায়। তাছাড়া এই কুণাল ঘোষ যেভাবে রেল দুর্ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করে একটি অডিও পোষ্ট করেছেন, সেটার জন্য ফোন ট্যাপিংয়ের একটি গুরুতর অভিযোগে উনি অভিযুক্ত হবেন। এই ফোন ট্যাপ যেই করুক না কেন, এটা অত্যন্ত অনৈতিক কাজ, সাধারন মানুষের ব্যাক্তিগত হস্তক্ষেপ কখনওই মেনে নেওয়া যায় না। যদিও পেগাসাসের নাম নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ বিরোধীরা করে, তার সত্যতা এখনও প্রমানিত হয় নি। আগামীদিনে এই সব কিছুর বিরুদ্ধেই তদন্ত কামনা করি।

আজ যেভাবে রেল দুর্ঘটনাকে ক্রমশ জটিল করে তুলেছে, বিভিন্ন তথ্য বেরিয়ে আসার মাধ্যমে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। একদিকে যেমন বিভিন্ন টেকনিক্যাল ত্রুটির কথা উঠে আসছে এবং এই ত্রুটির সঙ্গে কর্মী সংকোচনেরও কিছু বিষয়কে কারণ হিসাবে উঠিয়ে আনা হচ্ছে। সেটাও মেরামত করা দরকার। সেই সঙ্গে নাশকতার কারণও যেহেতু উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না, সেহেতু খুব সাবধানে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের রাজনীতি  করা উচিত বলেই মনে করি। বিশেষ করে এই রেল দুর্ঘটনাকে নিয়ে। ভারত সমগ্র পৃথিবীতে রেল পরিবহনে চতুর্থ। আর দুর্ঘটনা সারা পৃথিবীতেই হয়েছে। এদেশে ২০১৪-র আগে তো বটেই। সুতরাং অহেতুক মোদীকে কাঠগড়ায় না তোলাই উচিত। পরামর্শ দেওয়া যেতেই পারে। বর্তমান রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের মত সারাদিন ঘটনাস্থলে বসে থাকা কোনও রেলমন্ত্রী পূর্বে দেখা গিয়েছে বলে মনে পড়ছে না। তাছাড়া এত বড় স্কলার রেলমন্ত্রী এর আগে ছিল বলেও মনে পরছে না।

আর এই মূহুর্তে পাবলিক পারসেপশন পুরোপুরি তৃণমূলকে চোর বলেই মনে করে। যেহেতু মলয় ঘটককে ডেকে পাঠানোকে দেখে জনগণের কোনও কিছুই হেলদোল নেই, জনজোয়ারের বহর দেখে বিরোধী দল এতটাই ভয় পেয়েছে যে, এরপর বোধহয় তাঁরা আর রাজনীতি করবে না। আগামী নির্বাচনে বাংলার সর্বজ্ঞানী মহামানব ভারতের প্রধানমন্ত্রী হবেন। আর তখন সবাইকে জেলে পুরে দেবেন। সুতরাং আর তো কটা দিন। তাই এত চিন্তা কিসের? বরং এখন থেকে বাছাই করুন কোন কোন দলদাস পুলিশকে নিয়ে গিয়ে সিবিআই, ইডি ইত্যাদির শীর্ষপদে বসাবেন এবং এই দেশ থেকেই নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করে দেবেন। আর সেখানেই সর্বজ্ঞানীর নাম সবার আগে রাখবেন। অযথা জোর গলায় নাটকীয় সাংবাদিক সন্মেলন করে বাংলার মানুষকে বোকা বানাবার চেষ্টা করছেন কেন? আপনি কি মনে করেন, বাংলার মানুষ সবাই বোকা? আপনি কত সৎ সেটা অবশ্যই প্রমাণ হবে। সুতরাং সাধু সাবধান!

লেখক সংযুক্ত হিন্দু ফ্রন্টের সভাপতি। এই প্রবন্ধের সমস্ত মতামত তাঁর ব্যক্তিগত।
লেখা পাঠাবার E-mail address: sangbadkolkata@gmail.com

Related posts

Leave a Comment