সংবাদ কলকাতা: শুরু হয়ে গিয়েছে ২০২৩ সাল। এই বছরটি রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট ঘটনাবহুল হবে। কারণ, ২০২৩ সালেই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে কাশ্মীর সহ ১০ টি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে আবার লোকসভা নির্বাচন। এবছরই আবার পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। এবছর শেষ হলেই শুরু হয়ে যাবে লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি। তাই লোকসভা নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে এই বছরটি রাজনৈতিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
বছরভর প্রচার, ভোট, ভোটের ফলাফলে অনেকটা আভাস পাওয়া যাবে কাদের হাতে উঠতে চলেছে আগামী দিনের ভারতের শাসনভার। যদিও উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখন্ড, ও গুজরাটের নির্বাচনে পুনরায় সরকার গঠন করেছে বিজেপি। তাই ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে বিজেপি বেশ কিছুটা এগিয়ে। কিন্তু চিন্তায় ফেলেছে হিমাচল প্রদেশের নির্বাচন। হিমাচল প্রদেশে ইতিমিধ্যে ক্ষমতা হারিয়েছে বিজেপি। যেটা প্রমাণ করে দেয় রাজনীতিতে কোনও জায়গায় ফেলনা নয়। সুতরাং নতুন করে সংগঠন মজবুত করতে ইতিমধ্যে মাঠে নেমেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
২০২৩ সালে সমগ্র ভারতের মানচিত্র জুড়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। যে সমস্ত রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে, তার মধ্যে রাজস্থান ও ছত্তিসগড়ে কংগ্রেস সরকার এবং তেলেঙ্গানায় ভারত রাষ্ট্র সমিতি। বাকী রাজ্যগুলিতে চলছে বিজেপির শাসন। কাশ্মীর কেন্দ্র শাসিত রাজ্য হলেও নির্বাচনের আগে পূর্নাঙ্গ রাজ্যের মর্যাদা পায় কিনা সেটাই দেখার।
অপরদিকে মধ্যপ্রদেশের রাজনীতিতে এসেছে নতুন মোড়। ২০১৮ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস ক্ষমতা দখল করলেও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কংগ্রেস থেকে ২৪ জন বিধায়ক ভাঙিয়ে কংগ্রেসে যোগ দিলে মধ্যপ্রদেশে নতুন করে বিজেপির সরকার গঠিত হয়। এখন দেখার, মানুষ পুনরায় বিজেপির উপর আস্থা রাখে, নাকি কংগ্রেসকেই ক্ষমতাসীন দেখতে চায়। এই সব বিচারে আগামী দিনে ১০ টি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন যে বিজেপি তথা এনডিএ জোটের কাছে অগ্নিপরীক্ষা হতে চলেছে, তা মেনে নিয়েছে বিশেষজ্ঞ মহল।
previous post
