বীরভূমের রাজনগরের কানমোড়া গ্রামে ড্রাগন চাষ করে লক্ষপতি হলেন চাষী। গতানুগতিক চাষের পদ্ধতি এবং পরিকল্পনা বাদ দিয়ে লাভবান হওয়ার আশায় নতুন ধরনের চাষে আগ্রহী বর্তমানে অনেক চাষী। এরকমই প্রথাগত চাষের বাইরে ড্রাগন ফল চাষ করে লাভের দিশা দেখাচ্ছেন রাজনগরের ভবানীপুর অঞ্চলের কানমোড়া গ্রামের চাষী মান্নান খান। রাজনগর এলাকা বরাবরই খরাপ্রবন এলাকা এবং সেচ ব্যবস্থাও ভালো না থাকায় চাষবাস খুব একটা ভালো হয় না। তবুও এলাকার চাষীরা ধান চাষের ওপরেই ভরসা করে থাকেন। কিন্তু তাতে খুব একটা লাভের মুখ দেখা যায় না। তাই প্রথাগত চাষের পদ্ধতি বাদ দিয়ে ড্রাগন চাষের পরিকল্পনা করেন মান্নান খান। তিনি বছর চারেক আগেই তার বসতবাড়ির সামনে প্রায় পাঁচ একর জায়গায় ড্রাগন চাষ করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি রানাঘাট থেকে ড্রাগনের চারা আনান এবং প্রায় ১৫ হাজার মতো ড্রাগনের চারা তার ওই জমিতে লাগিয়ে ড্রাগন চাষ শুরু করেন। এক বছর পর থেকেই ফল পেতে শুরু করেন। পুষ্টিগুণ এবং এর আকার আকৃতির কারণে বাজারে ড্রাগন ফলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ক্যাকটাস জাতীয় এই মিষ্টি ফলটিতে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন , ভিটামিন, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। ফলে হার্টের রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থারাইটিস এমনকি ক্যান্সার নিরাময়ের ক্ষেত্রেও উপকারে আসে এই ড্রাগন ফল।
ড্রাগন চাষী মান্নান খান জানিয়েছেন বিঘা প্রতি তার কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা লাভ হয়ে থেকে এই ড্রাগন ফল বিক্রি করে। ফল বিক্রিতেও কোন সমস্যা নেই। পাইকারি রেটেই তার বাড়ি থেকেই ড্রাগন ফল কিনে নিয়ে যান ফল ব্যবসায়ীরা।
গতানুগতিক চাষের বাইরে ড্রাগন ফল চাষ করে রাজনগরে আয়ের নতুন দিশা দেখাচ্ছেন ড্রাগন চাষী মান্নান খান।