অভিজিৎ হাজরা , আমতা, হাওড়া: গঙ্গা জলে যেমন গঙ্গা পূজা হয়, তেমনই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টি কবিতা, গান, নৃত্যনাট্য, গীতি আলেখ্য, নৃত্য আলেখ্য, হাস্যকৌতুক, নাটক পরিবেশনের মাধ্যমে পালিত হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মজয়ন্তী।
গ্ৰামীণ হাওড়া জেলার আমতা বিধানসভা তথা জয়পুর থানা ও আমতা ২ নং ব্লকের অন্তর্গত খালনা গ্ৰাম পঞ্চায়েতের খালনা হাটতলা প্রাঙ্গণে খালনা ‘আমরা কয়জনা নাট্যগোষ্ঠী’ র আয়োজনে ‘লাবণ্য’ সঙ্গীত শিক্ষায়তন-এর পরিচালনায় ১৬৩তম ‘রবীন্দ্র স্মরণ’ অনুষ্ঠিত হল।
রবীন্দ্রনাথের প্রতিকৃতিতে মাল্যদানের মাধ্যমে ‘রবীন্দ্র স্মরণ’ অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। রবীন্দ্রনাথের সৃষ্ট কবিতা পাঠ, আবৃত্তি, নৃত্য, পরিবেশিত হয়।ছিল আলোচনাচক্র। রবীন্দ্রনাথের জীবনী, তাঁর সৃষ্টি, তাঁর কর্মজীবন, স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর অবদান নিয়ে আলোচনা করেন সমরেন্দ্রনাথ মল্লিক, গৌতম চক্রবর্তী, নমিতা ধাড়া শীল, দীপক পাল। এছাড়া ‘রবীন্দ্র স্মরণ’ অনুষ্ঠানের মূল আহ্বায়ক অপর্ণা রায় ও সমাপ্তি রায়।
এলাকার প্রতিভাবান শিক্ষানবিশ ছাত্র-ছাত্রীরা একক ও সমবেত সঙ্গীত, আবৃত্তি, নৃত্য, সঙ্গীত পরিবেশন করে। আলোচকগণ পর্যায়ক্রমে রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করে বলেন, ‘যুগ যুগ ধরে রবীন্দ্রনাথের রচনা থেকে শিক্ষা নিয়ে সমাজ জীবনে এগিয়ে যেতে হবে আমাদের। রবীন্দ্রনাথ ছাড়া আমাদের সংসার জীবন অচল। প্রতিদিন সূর্যোদয় থেকে সারাদিন রাত রবীন্দ্রনাথ আমাদের জীবনধারার সাথে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। বর্তমান জীবনে আমাদের শিশু থেকে যুবক-যুবতীদের কাছে রবীন্দ্রনাথের জীবনী-সৃষ্টি কাজ নিয়ে বেশি বেশি করে মূল্যায়ণ করার প্রয়োজন। রবীন্দ্র জীবন ধারায় চলার পথ প্রশস্ত করতে হবে।
খালনা হাটতলা প্রাঙ্গণে ১৬৩তম ‘রবীন্দ্র স্মরণ’ অনুষ্ঠানস্থল কানায় কানায় দর্শকপূর্ণ ছিল। এদিনের অনুষ্ঠানে শতাধিক আবালবৃদ্ধবনিতা ‘রবীন্দ্র স্মরণ’ অনুষ্ঠানে তাদের প্রতিভা প্রদর্শন করে।
‘রবীন্দ্র স্মরণ’ অনুষ্ঠানের মূল আহ্বায়ক অপর্ণা রায় ও সমাপ্তি রায় বলেন, যত দিন যাচ্ছে ততই অনুষ্ঠানের প্রচার-প্রসার বেড়েই চলেছে।
previous post
next post