দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ২৭ জুলাই: সদ্য মিটেছে ভোট পর্ব অশান্তি যেন থামছেই না এলাকায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বারবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে বাসন্তী। আবারো বোমাবাজির ঘটনায় নতুন করে উত্তপ্ত হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই এলাকা। যুব তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি লক্ষ্য করে পরপর বোমা ছোড়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের অপর গোষ্ঠীর কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। বিজয় উৎসবেও জারি ছিল অশান্তি। এই ঘটনায় ফের একবার প্রকাশ্যে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। যুব তৃণমূল কর্মী রফিকুল মোল্লা ও সাদেক মোল্লার বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়েছে বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ঘটনাস্থলে রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। মঙ্গলবার গভীর রাতে বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে বাসন্তী থানার চুনাখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের সচিয়াখালি গ্রামে। রফিকুল মোল্লার দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল ঘোষণার আগেই বাড়ি ছাড়া হতে হয়েছিল তাঁকে।
রফিকুলের পরিবারের দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দিয়েও দলের নির্দেশে প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করে নেয় যুব তৃণমূল। প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করার পর থেকেই এলাকার যুব তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের ওপর বারবার আক্রমণ হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তাঁরা। বর্তমানে রফিকুল বাড়িতে নেই। পরিবারের দাবি, সন্ত্রাসের জেরেই তাঁকে ঘরছাড়া হতে হয়েছে। বাড়িতে রয়েছেন তাঁর পরিজনেরা। মঙ্গলবার চুনাখালি বাজার এলাকায় তৃণমূলের কর্মীরা বিজয় উৎসবের আয়োজন করেছিল। তারপর রাত ১টা নাগাদ আচমকাই রফিকুল ও তাঁর ভাই সাদেকের বাড়ি লক্ষ্য করে পরপর বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। বুধবার সকালে দেখা যায়, তাজা বোমা পড়ে রয়েছে বাড়ির সামনে। আতঙ্কে রয়েছে গোটা পরিবার।
এদিকে, তৃণমূল নেতা রাজা গাজী বলেন, যাঁরা হামলা চালিয়েছেন, তাঁরা কেউ তৃণমূলের কর্মী নন। ঘটনা সাজিয়ে তৃণমূলের বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে । পারিবারিক বিবাদকে রাজনৈতিক রং লাগানোর চেষ্টা করছে ওরা। বাসন্তীতে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল বলতে কিছু নেই। পুরানো ঘটনাকে নিয়ে নোংরামি করছে ওরা । বাসন্তীতে আছে একটাই দল তা তৃণমূল কংগ্রেস।