আহমেদাবাদ, ৩১ জানুয়ারি: মঙ্গলবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলেন স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারাম বাপু। তার আশ্রমের এক প্রাক্তন শিষ্যার অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৩ সালে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। সেই মামলার নিষ্পত্তি হল আজ। প্রায় সাড়ে ৯ বছর ধরে এই মামলার ট্রায়াল চলেছে। ৫৫ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। আজ সাজা ঘোষণা করা হল।
তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ, জোর করে আটকে রাখা, মহিলাদের সঙ্গে অপরাধমূলক কাজ করা, মারধর ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়। এমনটাই জানিয়েছেন সরকারি আইনজীবী আরসি কোদেকর। যদিও আসারামের স্ত্রী লক্ষ্মীবেন, তাদের মেয়ে ও চার শিষ্যকে এই অভিযোগ থেকে রেহাই দিয়েছেন সেশন কোর্টের বিচারপতি ডিকে সোনি। এদিকে আসারামের আইনজীবী সিবি গুপ্তা জানান, এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানানো হবে।
প্রসঙ্গত আসারামের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আশারামের আশ্রমে ছিলেন সুরাটের এক মহিলা। সেই সময় তাঁকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। পরে তিনি ওই আশ্রম থেকে পালিয়ে যান। ২০১৩ সালের ৬ অক্টোবর আহমেদাবাদের একটি থানায় তিনি আসারাম সহ মোট সাত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আসারামকে গ্রেপ্তার করে মামলার শুনানি চলে প্রায় দশ বছর ধরে। অবশেষে তার রায় দান ও সাজা ঘোষণা হল।
এর আগে ২০১৩ সালে অন্য একটি অভিযোগে আসারামকে ইন্দোর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আশ্রমের ঘেরাটোপে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ ও জোর করে আটকে রাখার সেই অভিযোগে জেল খাটছেন তিনি। এখন তার বয়স ৮১ বছর। বর্তমানে যোধপুর জেলে রয়েছেন আসারাম। সেই মামলায় যোধপুর আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে। এবার দ্বিতীয় ধর্ষণের মামলাতেও দোষী সাব্যস্ত হলেন এই স্বঘোষিত ধর্মগুরু।
previous post