31 C
Kolkata
August 1, 2025
বিদেশ

যশোরে বাল্যবিবাহ পড়ানো সহকারি কাজী শহিদুল ইসলাম গ্রেপ্তার

বিল্লাল হুসাইন, যশোর: যশোরের সদর উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের আলোচিত (ভুয়া পদাধিকারী) সরকারী আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্র ছায়ায় একাধিক বাল্যবিবাহ পড়ানো সহকারি কাজী হাফেজ মাওলানা শহিদুল ইসলামকে (৫০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শহিদুল ইসলাম যশোর সদর উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের কাশিমপুর গ্রামের মোল্লাপাড়ার মৃত মানিক মোল্লার ছেলে।

মঙ্গলবার (১৪ই মার্চ) বিকাল পাঁচটার সময় যশোর সদর উপজেলার কাশিমপুর বাজার থেকে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে বলে জানা যায় ।

মামলার বাদি সূত্রে জানা যায়, শহিদুল ইসলাম কাশিমপুর ইউনিয়নের রেজিস্টার কাজী আব্দুল হাই সিদ্দিকীর সহকারী কাজী পরিচয় দিয়ে বাল্য বিয়ের কাজ করেন। শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে একাধিক বাল্যবিবাহ পড়ানো এবং মিথ্যা নিকাহ নামা প্রদানের অভিযোগও রয়েছে।

অঞ্জলি নামের এক ১৩ বছরের মেয়ের বাল্য বিবাহের অনুসন্ধানে ২০২০ সালের ১৬ই মে বাদি সহ তিন সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী বাল্যবিবাহের নিউজ সংগ্রহ করতে কাশিমপুরে যায়। আসামী শহিদুল ইসলাম তার পোষা সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে আসামী শহিদুল সহ তাদের উপর হামলা করে ও চাঁদা দাবি করে । তখন সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীরা ৯৯৯ এ কল করলে পুলিশ এসে সাংবাদিকদের উদ্ধার করেন।

এরপর শহিদুল ইসলাম বাঁচার জন্য সাংবাদিকদের নামে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। সাংবাদিকরা পরে বিষয়টি নিয়ে আরও গভীর তদন্তে গেলে এক পর্যায়ে শহিদুল ইসলাম তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দিয়ে সাংবাদিক শামসুর রহমান নিরবকে মারপিট, খুন, জখম সহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়। তখন সাংবাদিক শামসুর রহমান নিরব যশোর কোতয়ালী থানায় একটি জিডি করেন।

এ বিষয়ে কোতয়ালী থানার এসআই মিজান জানান, আসামী শহিদুল ইসলাম-এর বিরুদ্ধে কোর্টের একটি ওয়ারেন্ট ছিল। ওয়ারেন্টে আসামীর পিতার নাম ভুল থাকায় আসামী প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। পরে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে ও কাগজপত্র যাচাই-বাছাই সহ বাদির শনাক্ত মতে আমি আসামী শহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করি। তিনি আরও জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে কোর্টে পাঠানো হবে।

Related posts

Leave a Comment