দিল্লি, ১৩ এপ্রিল– সমস্ত অভিযোগ থেকে মুক্ত ম্যাগি নুডলস৷ তার বিরুদ্ধে স্বাদ বৃদ্ধির জন্য বিপজ্জনক মাত্রায় সীসা ব্যবহারের অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছে ন্যাশনাল কনজিউমার ডিসপিউটস রিড্রেসাল কমিশন (এনসিডিআরসি)৷ কেন্দ্রীয় সরকারের অভিযোগটি এনেছিল ২০১৫ সালে৷ প্রসঙ্গত, ওই বছর ৫ জুন ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া দেশে ম্যাগিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে৷ নির্দেশে বলা হয়, ম্যাগিতে অতিরিক্ত মাত্রায় সীসা এবং বিপজ্জনক মাত্রার বেশি মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট রয়েছে৷ ভারত সরকারের অভিযোগ ছিল, নেসলে কোম্পানি অসাধু প্রক্রিয়ায় ব্যবসা করছিল৷ প্যাকেটের গায়ে নো অ্যাডেড এমএসজি লেখা থাকলেও ইনস্ট্যান্ট নুডলসে সহনশীলতার অতিরিক্ত মাত্রায় সীসা ব্যবহার করা হতো৷ ১২ এপ্রিল, এনসিডিআরসি সভাপতি বিচারক এপি সাহি বলেন, সেন্ট্রাল ফুড টেকনোলজিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (সিএফটিআরআই) রিপোর্টে নির্দিষ্টভাবে বলা হয়েছে, ম্যাগিতে স্বাদবৃদ্ধির জন্য ব্যবহৃত সীসা সহনশীলতার মাত্রার মধ্যেই রয়েছে৷
কমিশনের মতে, একটি সরকারি সংস্থা যখন বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ এবং নির্দিষ্ট প্রমাণস্বরূপ একথা জানিয়েছে, তখন বিরোধী পক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ ধোপে টেকে না৷ শুধু তাই নয়, অভিযোগকারীর তরফে অভিযোগে সপক্ষে কোনও তথ্যপ্রমাণ না থাকায় এ নিয়ে আর শুনানিরও অবকাশ নেই৷ এখানেই এই শুনানি শেষ হচ্ছে এবং নেসলে-র বিরুদ্ধে অভিযোগ খারিজ করা হচ্ছে বলে জানায় কমিশন৷
২০১৫ সালে এফএসএসএআই নেসলে কোম্পানিকে এক নির্দেশে জানায়, তারা যেন নয়টি স্বাদের ম্যাগি বাজার থেকে তুলে নেয়, যাতে নো অ্যাডেড এমএসজি তকমা লাগানো আছে৷ তারা আরও বলে যে, ম্যাগিতে সীসা ব্যবহৃত হয়৷ প্রসঙ্গত, চিনে খাবারে স্বাদ বাড়াতে ব্যবহৃত আজিনোমোটোতে সীসা থাকে৷ যা ম্যাগিতেও ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ তোলে কেন্দ্র৷ এই নির্দেশের পরেই নেসলে কোম্পানি বাজার থেকে ৯টি স্বাদের ম্যাগি তুলে নেয়৷ কিন্ত্ত, বম্বে হাইকোর্টে নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা ঠোকে৷ হাইকোর্টেও সরকারি নির্দেশ বহাল থাকে৷ এরপরেই কেন্দ্রীয় সরকার এনসিডিআরসিতে একটি অভিযোগ লিপিবদ্ধ করে৷
previous post