গ্যাংটক: ১৯৪৬ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বীর জওয়ান হরভজন সিং। এরপর স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে ১৯৬৫ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন তিনি। সাল ১৯৬৮। তখন তাঁর মাত্র ২২ বছর বয়স। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৪ হাজার ফুট উচ্চতায় তাঁর ডিউটি পড়েছিল। নাথু গিরিপথে। সীমান্ত এলাকা হওয়ার কারণে যথেষ্ট স্পর্শকাতর এলাকা বলে পরিচিত ছিল জায়গাটা। সময়টা ছিল অক্টোবর মাস। তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল জওয়ানদের পণ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার জন্য।
তিনি রীতিমত পশুদের উপর মালপত্র চাপিয়ে গন্তব্যস্থলের দিকে রওনা হন। অত্যন্ত দুর্গম ছিল রাস্তা। এরপরে তাঁর সঙ্গে যে সমস্ত পশুগুলি গিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে বেশ কয়টি পশু চেক পয়েন্টে ফেরত আসে। এরপর বুঝতে অসুবিধা হয়নি সেনা জওয়ানদের। অনেক তল্লাশি চালানোর পরেও হরভজন সিং-এর দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
শোনা যায় এরপর তিনি নিজেই তাঁর এক সতীর্থকে স্বপ্ন দেখিয়ে বলে দিয়েছিলেন কোথায় তাঁর মৃতদেহ আছে। সেই মতো অনুসন্ধান করার পর হরভজন সিংহের দেহ উদ্ধার হয়। ভারতীয় সেনা জওয়ানরা তাঁকে দেবতারূপে পূজা করে থাকেন। তিনি নাকি এখনও দেশ রক্ষার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এখনও তাঁর উপস্থিতি বুঝতে পারেন সেনা জওয়ানরা। বাবা হরভজন সিং ভারতীয় সেনা জওয়ানদের কাছে দেবতার স্থান পেয়েছেন।
বাবার স্মৃতিকে ধরে রাখবার জন্য করা হয়েছে মন্দির। গ্যাংটক থেকে ৫২ কিলোমিটার দূরে ছাঙ্গু লেক পেরিয়ে অবস্থিত তাঁর মন্দির। এখনও তিনি নাকি তাঁর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।