সংকল্প দে, বীরভূম: স্বামীর মৃত্যুর দুই বছর পরেও সন্তানের জন্ম। নজিরবিহীন এই ঘটনা ঘটেছে বীরভূমের মুরারই থানা এলাকায়। মহিলার নাম সঙ্গীতা কেশরী। স্বামীর নাম অরুণ প্রসাদ কেশরী। বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পরও তাঁদের কোনও সন্তান হয়নি। দীর্ঘ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরও। তবে সঙ্গীতা কেশরী দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে, একদিন না একদিন সে মা হবেন। বাচ্চা না আসার ফলে তাঁর স্বামী কলকাতার একটি পরীক্ষাগারে শুক্রানু সংরক্ষণ করে রাখেন দুই বছর আগে। এরই মধ্যে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে অরুণ প্রসাদ কেশরী মারা যান। স্বামীর রাখা শুক্রাণু ব্যবহার করে মা হলেন। আশা পূর্ণ হল স্বামী মৃত্যুর পরেও। ৪৮ বছর বয়সের এই মহিলার। ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন পদ্ধতিতে মা হন তিনি।
জানা গিয়েছে, মুরারইয়ের বাসিন্দা অরুণ প্রসাদ কেশরীর বিয়ে হয়েছিল ২৭ বছর আগে। উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটির সঙ্গীতা কেশরীর সঙ্গে। স্বামীর মুদিখানার দোকান ছিল। স্বামীর মৃত্যুর পর সঙ্গীতা কেশরী চালান সেই দোকানটি। গত মঙ্গলবার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি হন তিনি। সেখানে চিকিৎসার জটিলতার কারণে রাত্রি দশটা নাগাদ রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেই দিন রাত এগারোটা নাগাদ অস্ত্রোপাচার করে আড়াই কেজি ওজনের পুত্র সন্তান জন্ম দেন সঙ্গীতা কেশরী। স্বামী মৃত্যু হওয়ার পরও আইভিএফ পদ্ধতিতে বাচ্চা হয়েছে। অথচ তাঁর পাশে পরিবারের কেউ নেই। তাঁর সাহসিকতার জন্য কুর্নিশ জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। অসুস্থতার কারণে এখনও পর্যন্ত তিনি একাই রয়েছেন রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে। তবে তিনি সুস্থ আছেন।
previous post
next post