লখনউ– মহাকুম্ভে সাধুর ছদ্মবেশেও জঙ্গিরা হানা দিতে পারে, এমন খবর জানিয়েছে গোয়েন্দা দফতর। সেই আশঙ্কার খবর পাওয়ার পরই প্রস্তুত উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। মহাকুম্ভে মাছিও গলতে না দেওয়ার পণ করেছেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। স্থল, জল, আকাশ— তিন জায়গা থেকেই চালানো হবে কড়া নজরদারি।
এছাড়া মোতায়েন করা হবে ড্রোন বিধ্বংসী সিস্টেম। সম্ভাবনা হয়েছে সাইবার হানারও। তাই মুখ্যমন্ত্রী যোগীর নির্দেশে সাইবার নিরাপত্তার জন্য বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে।
অবশ্য এর আগে খালিস্তানি জঙ্গি সংগঠনের তরফে কুম্ভমেলায় হানার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে যেভাবে দেশে নাসরুল্লাহ গোষ্ঠীর হদিস মিলছে তাতে আরও জোরালো হয়েছে মেলায় জঙ্গি হানার আশঙ্কা। আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে ভারতে হিন্দু পুণ্যার্থীদের সবচেয়ে বড় সমাবেশ। প্রয়াগরাজে গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতীর সঙ্গমস্থলে ৪০ কোটি পুণ্যার্থীর জন্য গড়ে তোলা হচ্ছে এক অস্থায়ী নগরী। ১৫ বর্গমাইল এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে এই অস্থায়ী নগরী। ইতিমধ্যেই গোয়েন্দা তথ্য জোরদার করার জন্য মেলা সংলগ্ন রাস্তার বিভিন্ন বিক্রেতা, রিকশা চালকদের পুলিশ ভেরিফিকেশন সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। আখড়া, মহামন্ডলেশ্বর, খালসা, ডান্ডিবারা, খাকচৌক এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের জন্য জমি বরাদ্দও সম্পন্ন হয়েছে। যোগী কড়া নির্দেশ দিয়েছেন, মেলায় সাধুদের যথাযথ সম্মান জানাতে হবে। প্রতিনিয়ত তাঁদের সহযোগিতার সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখতে হবে। প্রশাসনের কাছে খবর রয়েছে, মহাকুম্ভ নিয়ে কিছু ভুয়ো ওয়েবসাইট বা অ্যাপ তৈরি করে প্রতারণার ছক কষা চলছে। এনিয়ে যোগী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এটা দুঃসাহসিক পদক্ষেপ। এমন অভিযোগ উঠলে পুলিশকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। মেলা চত্বরে ২৫টি জায়গায় রেশন বিতরণ হবে। তার জন্য ৫টি গুদাম ও ১২৫টি অস্থায়ী রেশন দোকান তৈরি করা হয়েছে। ৬টি পুণ্যস্নান উৎসবে তীর্থযাত্রীদের উপর ফুলের বর্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সকলকে সময়ের মধ্যে সমস্ত কাজ শেষ করা এবং মেলা শুরু সময় অনুযায়ী কাজ করার কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী।
previous post