মানিকচক: ১২ মাস জল কাদায় ভরে থাকে রাস্তা। নতুন পঞ্চায়েতের প্রধান হওয়ায় এবার আশায় বাসিন্দারা। এবার হয়তো দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান হবে। জল জমে প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে কাদাময় হয়ে থাকে গোটা বছর। সে রাস্তার উপর দিয়ে যাতায়াত করতে হয় এলাকার কয়েক হাজার বাসিন্দাদের। বারবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে পঞ্চায়েত ব্লক প্রশাসনকে জানিয়েও সমস্যার সমাধান হয়নি। এবার নতুন পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন হয়েছে। ভোটের আগে আশ্বাস মিলেছে, রাস্তা মেরামতির। তাই নতুন পঞ্চায়েতের বোর্ড তৈরি হয়। শীঘ্রই রাস্তা তৈরি হবে বলে মনে করছেন বাসিন্দারা।
এমন এক ছবি ধরা পড়ল আমাদের সংবাদ কলকাতার ক্যামেরায়। মানিকচক ব্লকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভবানীপুর থেকে গোপালপুর সহবতটোলা এলাকায়। এখানে প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘ প্রায় পনেরো বছর ধরে এরকমই জল কাদায় ভরে থাকে। সুখা মৌসুমে তাও চলাফেরা করা যায়। কিন্তু বর্ষার মরশুমে কাদা ও জলের উপর দিয়ে চলাফেরা করা খুব বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। রাস্তার মাঝে মাঝে রয়েছে বড় বড় গর্ত। মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ছোট থেকে বড় গাড়ি।
গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, রাস্তা খারাপের জন্য এই এলাকায় ছেলেমেয়েদর বিয়ে হয়না। প্রায় প্রতিদিনই এই রাস্তায় প্রায় পাঁচ হাজার লোক চলাফেরা করে। এই গ্রামে এই রাস্তার জন্য অ্যাম্বুলেন্স ঢোকে না। কেউ অসুস্থ হলে তাঁকে ঘাড়ে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।। আমাদের প্রশ্ন, আমাদের সরকার বলে ‘দুয়ারে সরকার’। কিন্তু আমরা বলছি আমাদের সরকার দিয়েছে “দুয়ারে কাদা”।
তবে রাস্তা যে খারাপ সে কথাটা স্বীকার করেছেন মানিকচক বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র। তিনি জানান, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদ থেকে এলাকার পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা ধরা হয়েছে। ইতিমধ্যে সাড়ে চার কোটি টাকা যা পাওয়া গিয়েছিল তার বেশিরভাগটাই গোপালপুরের রাস্তার কাজের জন্য দেওয়া হয়েছে। ফলে গোপালপুরের রাস্তার কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হবে।
রাস্তার বিষয় নিয়ে তৃণমূল সরকারকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি-র মালদা জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষকে বোকা বানানো ছাড়া আর কোনও কাজ নেই তৃণমূল সরকারের। মুখ্যমন্ত্রী একগুচ্ছ খালি প্রকল্প ঘোষণা করছেন। কিন্তু সেই প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত সেভাবে হচ্ছে না। গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদকে গ্রামের রাস্তাগুলি দেখার বিষয়। অথচ সেখানে দেখা হচ্ছে না। গ্রামেগঞ্জের রাস্তাগুলি দুর্বিষহ অবস্থায় রয়েছে। চারিধারে খালি দুর্নীতি হচ্ছে, কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।
previous post
next post