সাক্ষাৎকারের নামে মহিলা সাংবাদিককে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। ওই তরুণী সাংবাদিকের কোলে বসে পড়েন সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ করে হেনস্থার ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আনেন ওই তরুণী। তিনি লাইভে গোটা বিষয়টা তুলে ধরে একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ইতিমধ্যেই তার বিরুদ্ধে বরানগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নিগৃহীতা।
আর এই বিষয়টি জানার পর স্তম্ভিত বলে জানান সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘আমি তো শুনে অবাক। কখনো দুঃস্বপ্নে ভাবিনি, যে এমন একটি অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে আসতে পারে।’ গোটা অভিযোগ অস্বীকার অভিযুক্ত সিপিএম নেতার। তিনি বলেন, ‘আমি তাকে মা বলে ডেকেছি। এটা শুনে আমি তো হতবাক। আমি শেষ পর্যন্ত লড়াই করব। দল আমার পাশে থাকুক বা না থাকুক আমি সত্য প্রকাশ করবই।’
প্রসঙ্গত একটি ইউটিউব চ্যানেলের ওই মহিলা সাংবাদিক তাঁর লাইভ ভিডিওতে বলেন, ‘আজ আমার অ্যাসাইনমেন্ট ছিল। চার বছর ধরে সাংবাদিকতা করছি। এমন ঘটনা আমার সঙ্গে হয়নি। সকালে সিপিএম নেতার ইন্টারভিউ নেওয়ার কথা ছিল। সেই মতো তাঁর কাছে যাই। এর আগেও ইয়ার্কির ছলে অনেক সময়ই উনি গায়ে হাত দিয়েছেন। হাতে হাত দিয়েছেন বা গায়ে হাত দিয়েছেন। কিন্তু আজ যখন আমার ক্যামেরা পার্সন ক্যামেরার ফ্রেম ঠিক করছিলেন, তখন তন্ময়বাবু কোথায় বসব, কোথায় বসব বলে আমার কোলে বসে পড়েন।’ এমনই অভিযোগ করেন নিগৃহীতা।
আর গোটা বিষয় নিয়ে তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। ইতিমধ্যেই সাংবাদিক বৈঠক করে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে এবং অন্তর্দলীয় কমিটির কাছে অভিযোগ করা হয়েছে সিপিএম নেতার বিরুদ্ধে। গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বরানগর থানার পুলিশ।
ঘটনার অভিযোগ পেতেই দল থেকে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম। এ প্রসঙ্গে তন্ময়বাবু বলেন, ‘দলের প্রতি এখনও আস্থা আছে। আমি ভরসা হারায়নি। তবে কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল, তা এখনও বুঝে উঠতে পারলাম না। আমাকে একবার বলার সুযোগ দিতে পারতো।’
previous post