ময়নাগুড়ি, ৩ ডিসেম্বর: আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের আগে দল থেকে ইস্তফা একাধিক সদস্যদের। যা নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। উল্লেখ্য, শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ময়নাগুড়ি ব্লক যুব তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সম্পাদক সম্রাট মন্ডল জানান, ২০১৯ সালের পর থেকে যাদের দলে দেখা যায়নি, আজ তাদের ওপরেই দলের সমস্ত দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে।
তবে আগামী দিনে দলের ভবিষ্যৎ কী তা নিয়ে যথারীতি উদ্বেগ প্রকাশ করেন সম্রাট বাবু। তৃণমূল কংগ্রেসের ভরাডুবির সময়ে দলের পাশে থেকে কাজ করেছি। দলের তরফে মাধবডাঙ্গা ২নম্বর অঞ্চল যুব সহ সভাপতি পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেই দায়িত্ব পালনও করে আসছিলাম দীর্ঘদিন। এরপর হঠাৎই গ্রুপের কিছু আপডেট অনুযায়ী শুনতে পাই, ২রা ডিসেম্বর আমাকে যুব সহ সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে ব্লকের সাধারণ সম্পাদক পদে নিযুক্ত করা হয়েছে।
বিনা নোটিশে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ায় পর থেকে ইস্তফার সিদ্ধান্ত বলে দাবি সম্রাট বাবুর। অন্যদিকে মাধবডাঙ্গা ২১৯ বুথ সভাপতি বিপুল কুমার রায় জানিয়েছেন, দল এধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অন্তত একবার সমস্ত যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যদের নিয়ে আলোচনা সভার মাধ্যমে নতুন পদ ঘোষণার কথা জানানোর প্রয়োজন ছিল। তিনি আক্ষেপের সুরে এও বলেন, দল যাকে যোগ্য বলে বিবেচিত করবে, তাকেই সেই গুরুদায়িত্ব দেওয়া দরকার।
তবে দলের এভাবে না জানিয়ে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়াটা মোটেও ভালো চোখে দেখছেন না যুবরা। তাই আজ ময়নাগুড়ি ব্লক যুব তৃণমূল কংগ্রেসের মোট ১৪টি বুথের ১৪০জন সদস্য পদত্যাগ করলেন। যদিও এই ইস্তফাকে কেন্দ্র করে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। এখন দেখার, আগামীতে দল কী ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
previous post
next post