সুভাষ পাল, ২৬ জুলাই: দেশের মানুষের সামনে কেন্দ্রের মোদি সরকারকে দুর্বল প্রমাণ করার ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিরোধীরা। সেজন্য আজ বুধবার অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করল কংগ্রেস ও বিআরএস। কংগ্রেসের সঙ্গে রয়েছে তাদের নবগঠিত জোট ‘ইন্ডিয়া’। যদিও এই ২৬ টি বিরোধী দলের জোট সংগঠনে নেই কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের সংগঠন ভারত রাষ্ট্র সমিতি বা বি আর এস। সেজন্য তারা আলাদাভাবে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে সংসদে বিআরএসের সাংসদ নামা নাগেশ্বর রাও এই অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। অন্যদিকে কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ ‘ইন্ডিয়া’ জোটের হয়ে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেন।
মূলত মনিপুরের হিংসাকে ইস্যু করে এই অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে বিরোধীরা। অথচ সদ্য পঞ্চায়েত ভোটে বাংলায় যে সন্ত্রাস ও ৫৮ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে কারও মুখে কোনও টুঁ শব্দ নেই। রাজনৈতিক মহলের মতে, বাংলার শাসকদল তৃণমূল ‘ইন্ডিয়া’ জোটে নাম লেখানোয় এই জোটের কাগুজে বাঘেরা কোনও কথা বলছে না। সেজন্য প্রশ্ন উঠছে, যারা অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে, তারা কি মণিপুর প্রসঙ্গে আদৌ আন্তরিক, নাকি নিছক রাজনৈতিক চমক! না হলে বাংলার নির্বাচনে সন্ত্রাস ও মৃত্যু নিয়ে চুপ কেন?
এদিকে এই অনাস্থা প্রস্তাব কার্যত লোক দেখানো ছাড়া আর কিছুই মনে করছে না শাসক শিবির। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে ক্ষমতায় আসা মোদি সরকারের সাংসদরা বিরোধীদের এই অনাস্থা প্রস্তাবকে মোটেই পাত্তা দিচ্ছে না। কারণ, এন ডি এ সরকারের সাংসদরা সম্পূর্ণ ঐক্যবদ্ধ। যার মধ্যে লোকসভায় বিজেপি-র রয়েছে ৩০৩ জন সাংসদ।
রাজনৈতিক মহল মনে করে, এই অনাস্থা প্রস্তাবে মোদি সরকারের কোনও সমস্যা সৃষ্টি করবে না। ফলে মুখ পুড়বে ‘ইণ্ডিয়া’ জোটের। কারণ মোদি সরকারের পক্ষে রয়েছে ৩৩২ জন সাংসদ। ফলে ‘ইণ্ডিয়া’ জোটের এই জনগণের মনে প্রভাব ফেলার এই ফর্মুলা কার্যত মাঠে মারা যাবে।