ইম্ফল, ২০ জুলাই: মণিপুরের একটি ভাইরাল ভিডিও নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ। দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানো হচ্ছে। এবং তাঁদের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মণিপুর সরকার ও কেন্দ্র সরকারের সমালোচনা করছেন বিরোধীরা। সামাজিক মাধ্যমেও নিন্দার ঝড় উঠেছে। বিরোধীরা সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই ঘটনার দ্রুত পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্র সরকারকে। অথচ দুই মাস হয়ে গেলেও অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন। আজ ভিডিওটি ভাইরাল হতেই কেন্দ্র সরকারের নজরে আসে। কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী টুইটারে ঘটনাটির উল্লেখ করে বলেন, মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন্দ্র সিংয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত মনিপুরে ধারাবাহিক হিংসার মধ্যে গত মে মাসে এই ঘটনাটি ঘটে। দুষ্কৃতীরা সেখানকার একটি গ্রামে হামলা করে। সেখানেই গ্রামের দুই মহিলাকে নগ্ন করে রাস্তায় হাঁটানো হয়। এছাড়া অভিযোগ উঠেছে, দুষ্কৃতীরা ১৯ বছরের এক যুবতীকে গণধর্ষণ করেছে। তাঁর ভাই দুষ্কৃতীদের বাধা দিতে গেলে তাকে হত্যা করে। সামাজিক মাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর তৎপর হয়েছে প্রশাসন। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, ‘দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের বিষয়েও ভাবনা চিন্তা চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি’। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, প্রয়োজনে আইনের পরিবর্তন করে দ্রুত দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, ‘এই ধরণের ঘটনা যে কোনও সভ্য সমাজের পক্ষে লজ্জাজনক। কোথাকার ঘটনা, কারা করেছে সেটা পরের বিষয়। আমি সকল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের বলব, আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে সতর্ক হতে। বিশেষত মা বোনেদের সুরক্ষার বিষয়ে। দোষীদের মোটেই রেয়াত করা হবে না’।
এদিকে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। মণিপুরে সংবিধান ভেঙে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, গতকাল রাতেই ঘটনার মূলচক্রিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।