রাজগঞ্জ, ২৩ জুলাই: রাজগঞ্জ বিধানসভার সন্ন্যাসী কাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের জুম্মাগাছি,কুয়ার বাড়ি সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ ঘর ছাড়া। ভোটের দিনের হিংসায় আতঙ্কে ঘর ছাড়েন এলাকার শতাধিক নারী ও পুরুষ ভোটার ।আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে উক্ত কয়েকটি গ্রামের শতাধিক পরিবার। গ্রামবাসীরা জানান ঘর ছাড়া গ্রামবাসীরা প্রত্যেকেই কংগ্রেস ও সিপিআইএমের সমর্থক। পিংকি বেগম, আলিয়া খাতুন, ফরিতা খাতুন, আলিয়ার রহমান রা ভোটের দিনের তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনীর বীভৎসতার বর্ণনা দেন।
ফরিতা খাতুন জানান,’ বাড়িতে কোন পুরুষ নেই আমি তিন বৌমাকে নিয়ে থাকি। রাতে ভয়ে থাকতে পারিনা। স্বামী ও আমার তিন ছেলে বাইরে আছে প্রাণ হারানোর ভয়ে ঘরে আসছে না।’ হরিবর রহমান বলেন পুলিশ, দাঁড়িয়ে থেকে আমার ঘর ও টোটো ভাঙতে সাহায্য করছে তৃণমূলের হার্মাদ দের ।
অন্যদিকে তৃণমূলের নেতা ও সন্ন্যাসী কাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আতিয়ার রহমান ঘটনাটি অস্বীকার করেন তিনি জানান রিরোধীরা নিজেরাই নিজেদের ঘরবাড়ি ভেঙে বাইরে আছে। আমরা কাউকেই বাইরে থাকতে বলি না। শান্তিতেই ভোট হয়েছে। তারা ঘরে ফিরে আসুক আমরাও চাই।
আজ ভোট হিংসায় ক্ষয়ক্ষতি এবং সিপিআইএমের সমর্থকরা কি অবস্থায় আছে তা জানতে পরিদর্শনে আসেন জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক সুনীল আচার্য। তিনি জানান তৃনমূলের সন্ত্রাসের ফলে এলাকার মানুষ ঘরে থাকতে পারছে না। এরজন্য তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে দায়ী করেছেন। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি ঘরছাড়াদের বাড়িতে ফিরিয়ে আনার।