সংবাদ কলকাতা, ২৮ জুন: কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের বিরুদ্ধে এবার শেয়ার বাজারে কারচুপির অভিযোগ উঠল। ইডি-র দাবি, কাকু নিজের কোম্পানির শেয়ার দর বাড়িয়ে কালো টাকা সাদা করেছেন। এজন্য তিনি কয়েকটি ভূইঁফোড় কোম্পানি খোলেন। এবং পরিচিতদের দিয়ে শেয়ার কিনিয়ে সেই দর ৪৪ গুণ বাড়িয়ে দিয়ে কালো টাকা সাদা করেন। এইসব কোম্পানির মধ্যে দুটি আরওসি-র কালো তালিকাভুক্ত। আজ আদালতে এমনটাই দাবি করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সম্প্রতি স্ত্রী বিয়োগ হওয়ায় সুজয়বাবুকে তিন দিনের প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। সেজন্য তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের দিন পিছিয়ে গেল। আগামী ৭ জুলাই সেই মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, তাঁর নতুন চালু হওয়া কোম্পানির প্রতি শেয়ার পিছু দর ১০ টাকা হওয়ার কথা। কিন্তু, সদ্য চালু হওয়া কোম্পানির শেয়ার দর রাতারাতি কিভাবে ৪৪০ টাকা হয়ে গেল, তা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। কোনও কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে এই সূচক বৃদ্ধি সম্ভব নয়। এবং অবাস্তব ঘটনা। আচমকা শেয়ারের এই দাম বৃদ্ধিতে কোনও আর্থিক হিসেব পাওয়া যায়নি। এই দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে নিয়ামক সংস্থার নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে কোনও নিয়ম মেনে দাম বৃদ্ধি করা হয়নি। তদন্তে জানা গিয়েছে, অস্বাভাবিক দামে বিভিন্ন সংস্থা কাকুর কোম্পানির শেয়ার কিনেছে। সেই শেয়ার বিক্রির টাকা কাকুর কোম্পানির অ্যাকাউন্টে জমা পড়তেই তা তুলে নেওয়া হয়েছে। এভাবে ১০ কোটি টাকা বাজার থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। এরকমই দুটি সংস্থা কাকুর কোম্পানির শেয়ার কিনেছিল। যার টাকার অঙ্ক ছিল তিন কোটি। এই সংস্থা দুটিও কাকু বেনামে খুলেছিল। এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের কোম্পানির মালিকানা পদে রাখা হয়েছিল। তাঁদের দিয়ে নাক ঘুরিয়ে নিজের কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করা হয়। তদন্তে গলদ ধরা পড়তেই আরওসি এই দুটি কোম্পানির নাম তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে।
previous post