২১শে ডিসেম্বর, কল্যাণী: আজ বিধান চন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাইরেক্টর অফ এক্সটেনশন এডুকেশন হলে ভারতীয় কিষাণ সংঘের সভা হল। আগামী ২৩/১২/২৩ তারিখ ‘জাতীয় কৃষক দিবস’, সেই উপলক্ষে ‘ভারতীয় কিষাণ সংঘ”-এর উদ্যোগে আজ ‘জাতীয় কৃষক দিবস’ পালন করা হল। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় কিষাণ সংঘের পশ্চিমবঙ্গ প্রান্তের সংগঠন মন্ত্রী অনিল চন্দ্র রায়, প্রান্তের প্রচারপ্রমুখ ড. কল্যাণ জানা এবং প্রান্তের সদস্য ও ‘ভারতীয় কিষাণ বার্তা’র সম্পাদক মিলন খামারিয়া।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ড. মানবেন্দ্র রায়, অধ্যাপক নিতাই চন্দ্র দাস, প্রফেসর দিলীপ কুমার মিশ্র, অরিত্র ঘোষ দস্তিদার ও রজত বিশ্বাস।
এদিন শুরুতেই বক্তব্য রাখেন অনিল রায়। তিনি বলেন – ভারতীয় কিষাণ সংঘ মূলত তিনটি পর্যায়ে কাজ করে। সংগঠনাত্বক, আন্দোলনাত্বক ও চরণাত্বক। পশ্চিমবঙ্গে ভারতীয় কিষাণ সংঘের কাজ ধীরে ধীরে বাড়ছে বলেও জানান তিনি।
ড. রায় বলেন -যেখানে জলের অভাব আছে, বিশেষ করে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া -এই সব অঞ্চলে মিলেট চাষ লাভজনক হতে পারে। মিলেট খাওয়াও স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো।
শ্রী ঘোষ দস্তিদার বলেন, ছাত্র/ছাত্রীদের সচেতন করার পাশাপাশি ‘এগ্রিভিশন’ বিভিন্নভাবে চাষিদের মধ্যে প্রযুক্তি সম্প্রসারণেরও কাজ করছে। একই সাথে বৌদ্ধিকভাবেও সাহায্য করছে। ভারতের কৃষি যে উত্তম ছিল সেটাও জানান তিনি।
এরপর রজত বিশ্বাস বলেন, ভারত সরকার কৃষকদের জন্য ‘কৃষক স্পেশাল’ ট্রেন চালু করেছে। তাদের জন্য ‘কিষাণ সম্মান নিধি’র ব্যবস্থা করেছে, যার দ্বারা কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।
তারপর শ্রী খামারিয়া বলেন, ভারত কৃষি প্রধান দেশ। কৃষকরা অর্থনৈতিক দিক দিয়ে শক্তিশালী না হলে ভারত কোনোদিনও উন্নত রাষ্ট্র হতে পারবে না। কৃষককে তার উৎপাদিত ফসলের লাভকারী মূল্য দিতে হবে। জৈব পদ্ধতিতে চাষাবাদ ফিরিয়ে আনতে হবে।
অধ্যাপক ড. দাস বলেন – প্রাচীন ভারতের কৃষি ব্যবস্থাকে ফিরিয়ে আনতে হবে। সবুজ বিপ্লব করতে গিয়ে আমরা দেশে ‘বিষের বিপ্লব’ ঘটিয়ে ফেলেছি। এই বিষ থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।
আজকের এই অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিল ভারতীয় কিষাণ সংঘ, ABRSM ও ABVP এবং সঞ্চালনায় ছিলেন ড. কল্যাণ জানা। সভা শেষে একজন কৃষকের হাতে স্প্রে মেশিন তুলে দেওয়া হয়।
							previous post
						
						
					
							next post
						
						
					
