29 C
Kolkata
April 15, 2025
কলকাতা

ভাঙড়ে বোমাবাজিতে মৃত ৩, গুলিবিদ্ধ পুলিস সুপার ও দেহরক্ষী

সংবাদ কলকাতা: ভাঙড়ে গণনাকে (COUNTING AT BHANGAR) কেন্দ্র করে গতকাল রাতে তীব্র অশান্তির সৃষ্টি হয়। খণ্ডযুদ্ধ বাধে আইএসএফ (ISF) কর্মী ও পুলিসের মধ্যে। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এখানকার কাঁঠালিয়া এলাকা। সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে দুই আইএসএফ কর্মী সহ আরও এক যুবকের। গতকাল, রাতেই গুলিবিদ্ধ হন বারুইপুর পুলিস জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার মাকসুদ হাসান (MAKSUD HASSAN) ও তাঁর দেহরক্ষী। সূত্রের খবর, এরই মাঝে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে তিন আইএসএফ কর্মীর। এলাকায় এখনও উত্তেজনা রয়েছে। স্থানীয় মানুষের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গিয়েছে, গতকাল গভীর রাতে ভাঙড়-২ জেলা পরিষদের একটি আসনের গণনা চলছিল। সেই সময় এই গণনাকে কেন্দ্র করে শাসকদল তৃণমূল ও আইএসএফ-এর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ বাধে। আইএসএফ অভিযোগ করে, তাঁদের জেলা পরিষদের প্রার্থী জাহানারা খাতুন( Jahanara Khatun) প্রথমে পাঁচ হাজার ভোটে এগিয়ে যান। কিন্তু রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ বিডিও(BDO) জানান, জাহানারা ৩৬০ ভোটে হেরে গিয়েছেন। বিডিও-র এই বক্তব্য মানতে নারাজ। ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে আইএসএফ নেতৃত্ব। তাঁরা দাবি করেন, প্রশাসনের সঙ্গে শাসক দলের ‘সেটিং’ হয়েছে। সেইমতো ভোটের ফলঘোষণা করা হয়েছে।

ক্ষুব্ধ আইএসএফ কর্মীরা পুনর্নির্বাচনের দাবি তোলেন। যদিও শাসকদল তৃণমূল এই অভিযোগ অস্বীকার করে। সেই বাগবিতণ্ডা থেকে মুহূর্তের মধ্যে এলাকায় উত্তেজনা শুরু হয়। এর জেরে ব্যাপক বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। একের পর এক বিস্ফোরণ হয়। বোমা এবং গুলির শব্দে এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে নামে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। পুলিশের অভিযোগ, একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থকরা তাদের উপর আক্রমণ শুরু করে। ফলে আইএসএফ কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন পুলিস ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। অভিযোগ ওঠে, আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরাই এই বোমাবাজি করেছে। পাশাপাশি, গুলি চালানোরও অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে। কর্তব্যরত নিরাপত্তা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে। সেই সময় বারুইপুর পুলিস জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার মাকসুদ হাসান (Maksud Hassan) ও তাঁর দেহরক্ষী গুলিবিদ্ধ হন। তাঁরা এখন চিকিৎসাধীন।

Related posts

Leave a Comment