হরিদ্বার, ১৮ জুলাই: প্রবল বন্যায় ভাসছে দেরাদুন। এমনিতেই বন্যায় জেরবার হরিদ্বারবাসী তার উপর মূর্তিমান উপদ্রব হিসাবে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে জীবন্ত কুমির। পাশাপাশি কুমিরের ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছে লকসর, খানপুর এবং রুরকি অঞ্চলের মানুষজন। কুমিরদের লোকালয়ে ঢুকে পড়া সম্পর্কে হরিদ্বারের ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার নীরজ ভার্মা বলেছেন,’প্রবল বৃষ্টি এবং নদীর জলস্ফীতির পর থেকে আমরা লক্ষ্য করছি বহু সংখ্যক কুমির মানুষের বাসস্থানে ঢুকে পড়ছে। গত পনের দিনে কমপক্ষে ১০টি কুমির লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে।’ এই ঘটনায় স্থানীয় মানুষরা যে আতঙ্কে আছে তা তাদের বক্তব্যে ধরা পড়েছে। এই প্রসঙ্গে খানপুরের প্রাক্তন প্রধান নরেশ কুমার বলেন,’১৫ জুলাই আমাদের গ্রামের বাসিন্দা হরিজন বসুর বাড়ির উঠোনে কুমির ঢুকে পড়ে। বেশ কয়েকঘণ্টা উৎকণ্ঠায় কাটান তাঁর পরিবার। সময়ে বন দপ্তরের কর্মীরা কুমিরটিকে সরিয়ে নিয়ে যায়। না হলে কী যে হতো!’ শুধু তাই নয়, কুমিরের পাশাপাশি ভয়ঙ্কর আনাগোনা শুরু হয়েছে বিষাক্ত সাপের। এই বন্যা এতটাই ভয়ঙ্কর যে যমুনার জল ইতিমধ্যেই ঢুকে পড়েছে তাজমহলের ভিতর। যা গত ৪৫ বছরে ঘটেনি বলে জানা গিয়েছে স্থানীয় সূত্রে। জানা গিয়েছে, মথুরার ওখলা ও গোকুল ব্যারেজ থেকে ছাড়া হয়েছে হাজার হাজার কিউসেক জল। যার জেরে যমুনার জলস্ফীতি ঘটে এই বন্যার সূত্রপাত। তবে আর্কিওলজিস্টদের মতে এই জল তাজমহলের কোন ক্ষতি করতে পারবে না। তবে এই বন্যা যে স্থানীয় আর্থসামাজিক পরিবেশের প্রভূত ক্ষতি করেছে তা বলাই বাহুল্য। এই বন্যার জেরে বন্ধ হয়েছে হিমাচল প্রদেশের ৭৭১ টি রাস্তা। বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর সূত্রে খবর কুলু জেলার ১৬১ টি এবং সিমলা জেলার ৩২৬ টি রাস্তা যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বিকল্প হিসাবে মান্ডি জেলার রাস্তা খুলে দিলেও ধসের কারনে তাও বন্ধ হয়েছে। এছাড়াও বানজার এলাকায় প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বন্ধ হয়ে আছে টেলিফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা।
previous post