সংবাদ কলকাতা, ১০ মার্চ: মার্চ মাসের প্রথম ১০ দিনে পরপর চারটি মেগা জনসভা করে বাংলা কাঁপিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এককথায় বাংলার আরামবাগ থেকেই তিনি ২০২৪ এর লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করেছিলেন। এবার তারই পাল্টা সভা করল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। রবিবার ব্রিগেড ময়দানে জনগর্জন সভার মাধ্যমে লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করলেন মমতা ব্যানার্জী ও অভিষেক ব্যানার্জী। কার্যত এই সভা থেকেই লোকসভা ভোটের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করলেন অভিষেক ব্যানার্জী। কিন্তু, সেখানেই ছিল ট্যুইস্ট। এবারের লোকসভা ভোটে যাদের নাম ঘোষণা হল সেখানে বাদ গেলেন ছয় জন সাংসদের নাম। তার মধ্যে রয়েছে ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং এবং বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান। যা নিয়ে রীতিমত ক্ষুব্ধ অর্জুন সিং এবং তার অনুগামীরা। যা নিয়ে অর্জুন সিংয়ের অনুগামীরা কিছুক্ষনের জন্য ৩৫ নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়।
প্রসঙ্গত, রবিবারের জনগর্জন সভা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন অর্জুন সিং। কারন তিনি জানতেন ব্যারাকপুর থেকে এবারও তিনি সাংসদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এমনই নাকি প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তৃণমূলের উচ্চ নেতৃত্বের তরফ থেকে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তাকে Whats App করে জানিয়ে দেওয়া হয় এবারের ভোটে তাকে প্রার্থী করা হচ্ছে না। যে ঘটনায় রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি জানান, তৃণমূল আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করল। আমাকে যদি আগে জানানো হতো তাহলে আমি আজকের সভায় আসতাম না। আর তার পরেই তিনি যোগাযোগ করেন বিরোধী শিবিরের সঙ্গে।
সূত্রের খবর, তাকে লোকসভা ভোটে প্রার্থী করা হচ্ছে না তা নিশ্চিত হওয়ার পর রবিবার রাতের ফ্লাইটেই দিল্লি যাচ্ছেন তিনি। এই আবহে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, তৃণমূল ভয় দেখিয়ে অর্জুনকে দলে টেনেছিল। তার সাথে আমাদের অনেকেরই যোগাযোগ ছিল। এমনকি ব্যক্তিগতভাবে আমারও যোগাযোগ ছিল অর্জুনের সাথে। অৰ্জুনকে প্রার্থী করা নিয়ে দলের মধ্যেই বিদ্রোহ তৈরী হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তাই তাকে প্রার্থী করা হয়নি। তবে বিজেপির টিকিটে জিতে আসা বিশ্বজিৎ দাস, মুকুটমনি অধিকারী, এবং কৃষ্ণ কল্যাণীকে টিকিট দিয়েছে তৃণমূল।