শঙ্কর মণ্ডল: গণতন্ত্রের অস্তিত্ব সঙ্কটে! মানুষের বাক স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। আদালত রায় দিতে পারবে না। তাঁর রায় সরকারের অনুকূলে না হলে বিচারপতির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন করা হবে প্রকাশ্যে। এর ফলেও কেউ বলতে পারবে না এই রাজ্যের সরকার ব্যর্থ। কেবল গলা ফাটাতে দেখা যাবে তৃণমূলের নেতাদের। তাতে তাঁদের কোনও যুক্তি থাকবে না। শুধু থাকবে ক্ষমতার ঔদ্ধত্য। সঙ্গে থাকবে দলদাস পুলিশ। একের পর এক ঘরবাড়ি ভাঙচুর, অগ্নি সংযোগ, তবুও কেউ প্রশাসনের ব্যর্থতার অভিযোগ করতে পারবে না। এই সমস্ত বিষয় দেখে যে কোনও গণতন্ত্রপ্রিয়, যুক্তিবাদী, রাজনৈতিক সচেতন মানুষের হাড় হিম হয়ে যাচ্ছে।
কেন্দ্রের সরকার এই রাজ্যে ৩৫৫ বা ৩৫৬ প্রয়োগ করবে কিনা তা নিয়ে বহু মানুষ বক্তব্য রাখছেন। যদিও তথাকথিত বুদ্ধিজিবীরা মুখে কুলুপ এঁটেছেন। তৃণমূল দাবি করছে যে তাঁরা সহনশীল, তাই পঞ্চাশের ওপরে মৃত্যুর মধ্যে তৃণমূলেরই বেশি। জানিনা, এই মূর্খের মতো প্রশ্ন যারা করে, তাদের প্রাথমিক শিক্ষা সম্পূর্ণ হয়েছে কিনা। এখন তো সওকত, আরাবুলদের মত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সার্টিফিকেট পাওয়া বোমা বাধার যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিরাও অন্যদের দিকে আঙুল তুলে বিবৃতি দিচ্ছে।
যাই হোক, মৃত্যু মৃত্যুই। কোনও দলের লোক মারা গিয়েছে। সেটা বড় কথা নয়। কারণ, যে কোনও মৃত্যুই আটকাতে না পারাটাই প্রশাসনের ব্যর্থতা। সুতরাং এই রাজ্যে প্রশাসন একেবারে ভেঙে পড়েছে। সে বিষয়ে কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই। আর এই পরিস্থিতিতে এই প্রহসনাক্ত ভোটে কে কত শতাংশ ভোট পেয়েছে, তার আলোচনা শতাব্দীর সেরা জোকস ছাড়া আর কিছুই নয়। সেই মতো সিপিএম কংগ্রেসের যে ভূমিকা, সেটা এখন গভীরভাবে বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। যাঁরা দিনরাত এক করে মমতার প্রশাসনের সমালোচনা করছেন। তাঁরাই ব্যাঙ্গালোরে মমতার পাশে বসে বৈঠক করছেন। আগামী দিনে মমতাকে আরও অধিক ক্ষমতা প্রদান করার জন্য আলোচনা করছেন। সুতরাং এত বড় দ্বিচারিতার উদাহরণ আর হতে পারে না।
previous post