ওয়াশিংটন, ৫ ফেব্রুয়ারি: বিশ্বের কোনও শক্তির কাছে মাথা নোয়াতে রাজি নয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সব রহস্যের কিনারে পৌঁছাতে চাই বিশ্বের এই বৃহৎ শক্তিধর রাষ্ট্র। তার জন্য যেকোনও মূল্য দিতে প্রস্তুত তারা। অবশেষে সেই কাজটাই করে দেখাল আমেরিকা। বিপদের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও চীনা বেলুনের রহস্য ভেদ করল মার্কিন প্রশাসন। সব জল্পনার অবসান ঘটাতে অবশেষে সেই চীনা বেলুনকে গুলি করে মাটিতে নামাল পেন্টাগন।
জানা গিয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ওই বেলুনটিকে ধ্বংস করতে নির্দেশ দেন। সেই মতো বেলুনটিকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। তার ধ্বংসাবশেষ পড়েছে আটলান্টিক মহাসাগরে। যা উদ্ধার করে খতিয়ে দেখবে মার্কিন প্রশাসন। প্রকৃতই সেটি গুপ্তচর বৃত্তির জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল কিনা!
পেন্টাগনের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট্রিক রাইডার এবিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন ধরেই দেশের উত্তরাঞ্চলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল এলাকার উপর বেলুনটির গতিবিধি লক্ষ্য করা গিয়েছে। আমেরিকার সেনা ও বিমান ঘাঁটি এবং পারমাণবিক অস্ত্রের কারখানা রয়েছে সেখানে। বৃহস্পতিবার মন্টানার উপর বেলুনটিকে উড়তে দেখা যায়।’
প্রসঙ্গত আমেরিকার আকাশ সীমায় আচমকা ঢুকে পড়ে একটি চীনা বেলুন। অত্যন্ত সংবেদনশীল অঞ্চলে বেলুনটি ঢুকে পড়ায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন। তাদের ধারণা হয়, গুপ্তচরবৃত্তির জন্যই ইচ্ছাকৃতভাবে বেলুনটির অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে চীন। তাইওয়ান সহ নানা ইস্যুতে চীনের সঙ্গে আমেরিকার এই টানাপোড়েনের মধ্যে সন্দেহজনক বেলুনের প্রবেশ।
এই প্রেক্ষাপটে বিশ্ব রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। সামনেই মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের বেজিং সফর । তার আগেই এই বেলুন কান্ড যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে বলে আন্তর্জাতিক মহলের ধারণা। তবে বেজিং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সব জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের দাবি এটি কোনও বেলুন নয়, ‘এয়ারশিপ’। যা মূলত আবহওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক গবেষণার কাজে তথ্য সংগ্রহের জন্য ব্যবহার করা হয়।
previous post