সুভাষ পাল, সংবাদ কলকাতা : বীরভূমে এদিন শতাব্দী রায়কে নিয়ে শুরু হল তীব্র বিতর্ক। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা যেখানে রাজ্যের দলিত ও গরিবদের বাড়িতে আহার সারছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা, দিলীপ ঘোষ সহ আরও অনেকে। তা নিয়ে কম কটাক্ষ করেননি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বরা। শতাব্দী করলেন ঠিক তার উল্টোটা। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ দলের গরিব কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে বসে একসঙ্গে খাওয়ার ছবি প্রচারের জন্য ছবি তুললেন। কিন্তু খেলেন না। ফটো সেশন করেই উঠে গেলেন।
কম দামের মোটা চালের ভাত, সব্জি, মাংস কিছুই ছুঁয়ে দেখলেন না তৃণমূল সাংসদ। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সেখানে সামনে সাজানো ছিল খাবারের থালা। ভাত, তরকারি, মাছ, মাংস দেওয়া হয়েছিল। মাটিতে পাতা আসনে বসে ছবি তুললেন। তারপর এদিক ওদিক তাকাতে লাগলেন। কোথাও ক্যামেরা তাক করা আছে কিনা তা দেখে নিলেন। থালা ঘুরিয়ে কাছে টেনে ভাত মাখতেও গিয়েছিলেন। কিন্তু খাবার স্পর্শ করেই দেখলেন না। একবার ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে সটান উঠে গেলেন। সবাই খাওয়া শুরু করলেও শতাব্দীর সাজানো খাবারের থালা মাটিতেই পড়ে থাকল। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, শতাব্দী বাড়ির ভিতরে বসে খেয়েছেন। শুধু বাইরে ছবি তুলেছেন।
উল্লেখ্য, বীরভূমে শুক্রবার ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে যান শতাব্দী। নিয়ম অনুযায়ী, গ্রামে গ্রামে মানুষের কথা শুনবেন দিদির দূতরা। এদিন সেরকমই একটি কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন শতাব্দী। বীরভূমের তেঁতুলিয়ায় এক তৃণমুল কংগ্রেস কর্মীর নাম সুজিত সরকার। তাঁর বাড়িতে এদিন দলের কর্মী ও নেতাদের খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে শতাব্দী ছাড়াও ছিলেন দলের জেলাস্তরের নেতা–নেত্রীরা। এই কর্মসূচিতে কর্মীর বাড়িতে খাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। বাকিরা পাত পেড়ে খেয়ে নিলেও শতাব্দী থালা ছেড়ে উঠে যান। সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক।
যদিও তাঁকে প্রশ্ন করা হলে বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান। সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখানে অনেকেরই অভিযোগ শুনলাম। তাঁরা আবাস যোজনার বাড়ি, বার্ধক্যভাতা পাননি। দুয়ারে সরকারের সুবিধাও কেউ কেউ পাননি বলে আমাকে জানিয়েছেন। তাঁদের কথা শুনেছি। সকলকে যেমন সরকারি পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে, বাকিদেরও মিলবে।’
তবে এনিয়ে বিজেপি নেতাদের দাবি, খেতে নয়, খাওয়ার ছবি লোককে দেখাতে মাটিতে বসেছিলেন শতাব্দী।
