সংবাদ কলকাতা: কৌস্তভ বাগচীকে গ্রেপ্তারের পিছনে তৃণমূলের অন্য অভিসন্ধি দেখছেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সুকান্ত বাবু মনে করেন, আইন কানুনের কথা জেনে বুঝে কৌস্তভকে এভাবে বেআইনিভাবে গ্রেপ্তারের পিছনে রাজ্যের শাসকদলের অন্য উদ্দেশ্য রয়েছে। না হলে এভাবে মিথ্যা মামলায় ফাঁসাতে যাবে কেন? আসলে কৌস্তভকে এভাবে গ্রেপ্তার করে নতুন বিতর্কের জন্ম দিতে চাইছে রাজ্য সরকার। যাতে অপ্রাসঙ্গিক কংগ্রেস ও সিপিএম আবার প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে। মানুষের আলোচনায় ফিরে আসে।
তিনি বলেন, রাজ্যের বিরোধী ভোট যদি এক ছাতার তলায় চলে আসে, তাহলে তৃণমূল আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। সেজন্য বিরোধী ভোটকে ভাঙতে চাইছে তৃণমূল। এমনিতে তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোট কমতে শুরু করেছে। সেজন্য সম্পূর্ণ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সেজন্য কংগ্রেস ও সিপিএম-কে আলোচনায় এনে বিরোধী ভোট ভাগ করতে চাইছে তারা। এককভাবে কোনও বিরোধী দল যেন শক্তিশালী না হয়, তাহলে তৃণমূল ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। তারা চাইছে, বিরোধী ভোটের কিছুটা অংশ কগ্রেসের ঝুলিতে যাক। কিছুটা সিপিএম-এর ঝুলিতে যাক। কিছুটা বিজেপি-র পকেটে যাক। তাহলে কেউই এককভাবে শক্তিশালী হতে পারবে না। মাঝপথে তৃণমূল ফের ক্ষমতায় থেকে যেতে পারবে। কিন্তু রাজ্যের মানুষ সবটাই বুঝতে পারছেন বলে দাবি করেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি।
previous post