নতুন দিল্লি: বিমানে মদ্যপ অবস্থায় এক বৃদ্ধা যাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করে দিয়েছিলেন এক সহযাত্রী। অবশেষে সেই অভিযুক্ত শঙ্কর মিশ্রকে গ্রেপ্তার করল দিল্লি পুলিশ। শুক্রবার রাতে তাঁকে বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেপ্তার করে দিল্লি নিয়ে আসা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে প্রায় দেড় মাস আগে। নিউ ইয়র্ক থেকে দিল্লি ফিরছিল বিমানটি। এক বয়স্ক মহিলা যাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করে দেন তিনি। লিখিতভাবে এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানান ওই বৃদ্ধা। এই অভিযোগ পাওয়ার পর শঙ্কর মিশ্রকে বহিষ্কার করল ওয়েলস ফার্গো। তিনি এই সংস্থায় কর্মরত।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বৃদ্ধার এই অভিযোগ পাওয়ার পর প্রশাসনিক মহলে যথেষ্ট চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। যাত্রীদের নিরাপত্তায় এয়ার ইন্ডিয়ার ভূমিকা নিয়েও যথেষ্ট প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এমনকি দিল্লি মহিলা কমিশন ডিজিসিএ, এয়ার ইন্ডিয়া ও পুলিসকে নোটিস পাঠায়। বিষয়টি নজরে আসার পর অভিযুক্ত শঙ্কর মিশ্রের খোঁজে সক্রিয় হয়ে ওঠে পুলিশ। তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য দিল্লি ও ব্যাঙ্গালোরে পৃথক দুটি দল মাঠে নামানো হয়। জারি করা হয় ‘লুক আউট নোটিস’। যাতে সে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে।
অন্যদিকে, অভিযুক্ত শঙ্কর মিশ্রের দাবি, তিনি ওই বৃদ্ধার সঙ্গে বিষয়টি মিটিয়ে নিয়েছেন। সেজন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে ওই বৃদ্ধাকে পেটিএমের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে দিয়েছেন। এক আইনজীবীর মাধ্যমে বিবৃতি প্রকাশ করে একথা জানান ওই অভিযুক্ত। যদিও বৃদ্ধার মেয়ে এক মাস পর সেই টাকা ফিরিয়ে দেন বলে জানা গিয়েছে। এরই মধ্যে শঙ্করের সংস্থা ওয়েলস ফার্গো তাঁকে বহিষ্কার করে দিয়েছে। সম্প্রতি ওই সংস্থাটি বিবৃতি দিয়ে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছে।
জানা গিয়েছে, ঘটনার পর ওই বৃদ্ধার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন শঙ্কর। তিনি অনুরোধ করে বলেন, বিষয়টি পুলিশে না জানাতে। কারণ, পুলিশে অভিযোগ জানালে তাঁর পরিবারের ওপর প্রভাব পড়তে পারে। ক্ষতি হতে পারে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানের।
দিল্লি পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, তারা এয়ার ইন্ডিয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে একটি এফআইআর দায়ের করেছেন। আইপিসির ধারা ৩৫৪ এবং ৫০৯ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় বিমান চলাচল আইনের ২৩ নং ধারাতেও মামলা দায়ের করা হয়েছে।
previous post
next post