সুভাষ পাল, সংবাদ কলকাতা: আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকীকে আটকে দিল পুলিশ। তাঁর বিধানসভা এলাকা ভাঙড়ে যেতে বাধা দিল বিধাননগর কমিশনারেট। আজ শুক্রবার হাতিশালার কাছে আটকানো হয় তাঁকে। জবাবে পুলিশ জানিয়েছে, যেহেতু ভাঙড়ে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে, সেজন্য তাঁকে যেতে দেওয়া যাবে না। বারুইপুর পুলিশ সুপারের নির্দেশ মতো এই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, একমাত্র তাঁরাই যেতে পারবেন। ব্যতিক্রমী এই তালিকায় বিধায়কের নাম নেই বলে জানিয়েছে হাতিশালায় কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিক।
এব্যাপারে ভাঙড়ের বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকী বলেন, আমি শান্তির বার্তা নিয়ে ভাঙড়ের মানুষের কাছে যেতে চাইছি। তবুও পুলিশ কেন আমাকে বাধা দিচ্ছে? তৃণমূল নেতারা যদি যেতে পারেন, তাহলে আমি এলাকার জনপ্রতিনিধি হয়েও কেন যেতে পারব না? এবিষয়ে তৃণমূল নেতা শওকত মোল্লার প্রসঙ্গ আলোচনায় উঠে আসে। বলা হয়, শওকত মোল্লা যদি ভাঙড়ে যেতে পারেন, তাহলে বিধায়কের যেতে বাধা কোথায়! জবাবে শওকত মোল্লা জানান, আমি ১৪৪ ধারা জারি হওয়ার পর ভাঙড়ে যায়নি। যেখানে গিয়েছিলাম, সেটা কলকাতা মেট্রোপলিটান এলাকার মধ্যেই ছিল। নৌশাদ কিংবা শুভেন্দু অধিকারী এরা ভাঙড়ে গিয়ে শান্ত এলাকাকে অশান্ত করতে চায়।
এদিকে পুলিশকে সংবাদ মাধ্যমের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি যদি বিধাননগর এলাকা বাদে অন্য কোনও এলাকা দিয়ে যেতে চান, তাহলে কি তাঁকে যেতে দেওয়া হবে? সেক্ষেত্রে বিধাননগর পুলিশ জানায়, আমাদের বর্ডার এরিয়া দিয়ে যে কয়টি পয়েন্ট আছে, সেগুলি দিয়ে যাওয়া নিষেধ আছে। তবে অন্য কোনও এলাকা দিয়ে গেলে আমাদের কোনও আপত্তি নেই।
বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকী পুলিশের এই আপত্তি শুনতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ না যোগ্য জবাব পাচ্ছি, আমি হাতিশালা থেকে নড়ব না। আমি ১৪৪ ধারার নিয়ম মেনেই ভাঙড়ে যেতে চাই। ১৪৪ ধারার নির্দেশ অনুযায়ী একসঙ্গে পাঁচ জনের নিচে জমায়েত করতে পারে। সেক্ষেত্রে আমার সঙ্গে তিনজন নিরাপত্তা রক্ষী রয়েছেন। তাহলে আমাকে এই আইনে কিভাবে আটকানো হচ্ছে।’
সকাল ১০টা থেকে প্রায় দুই ঘন্টারও বেশি সময় থেকে তিনি হাতিশালে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তিনি বলেন, আমি সেখানে মানুষের কাছে শান্তির বার্তা নিয়ে যেতে চাইছি। তাছাড়া আমার অফিসেও কাজ রয়েছে। তিনি বারুইপুর জেলা পুলিশ সুপারের অর্ডার কপি চাইলে কর্তব্যরত মহিলা পুলিশ আধিকারিক আদেশনামার প্রতিলিপি বিধায়কের হাতে তুলে দেন। যদিও সেখানে নামের তালিকা ছিল না বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানায়, তালিকাটি অফিসে আছে। সেটা কাউকে দেওয়া যাবে না।
previous post
next post