শঙ্কর মণ্ডল: শুধু আইন-আদালতের ওপর নির্ভর করে এই অসভ্য, বর্বর, সংবিধান লঙ্ঘনকারী দল তৃণমূলকে মোকাবিলা করা যায় না। আবার সংগঠন সংগঠন করে চিৎকার করলেই সংগঠন যেমন হয় না, ঠিক তেমনি সংগঠন থাকলেই তাতে মানুষের সমর্থন সব সময় পাওয়া যায় না। আর তাহলে সেই সংগঠন যে ভোট লুঠের পরিবেশ তৈরি করবে না, তারই বা নিশ্চয়তা কোথায়? হ্যাঁ, এই মুহূর্তে বিজেপির নেতাদের মধ্যে কেবল শুভেন্দু অধিকারী ছাড়া কেউই সংগঠন করেননি বা সংগঠন করে উঠে আসেন নি। এটাও ঘটনা, বিজেপির বহু পুরনো কর্মী সম্পূর্ণ বসে আছেন। তাঁদের কাজে লাগানোর কোনও পরিবেশ বা পরিকাঠামো কোনওটা নেই। আর এই কর্মীদের বেশিরভাগকেই এই বর্তমান নেতাদের কেউ চেনেনই না। এমনকি শুভেন্দু অধিকারীরও চেনা নেই।
কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর কথা মতো ব্যাপক গণআন্দোলন অবশ্যই প্রয়োজন। আর এই আন্দোলনের মাধ্যমেই মানুষ যুক্ত হবেন, সেইভাবেই সংগঠন তৈরি হয়। মমতা ব্যানার্জীর ক্ষেত্রে এই ঘটনাই ঘটেছিল। যাঁরা ইতিহাস মনে রাখেন, তাঁরা অন্তত এর বিরোধিতা করবেন না। এখন প্রশ্ন হল, কোন ইস্যুকে নিয়ে আন্দোলন হবে? যে বিষয়গুলি মানুষকে সরাসরি স্পর্শ করে, তাকে নিয়েই আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। মমতা ব্যানার্জী বাম আমলে তাই করতেন। শুভেন্দু অধিকারী যা বলছেন, তা যদি করে দেখাতে পারেন, তাহলে সংগঠন তৈরি হতে পারে। কিন্তু ভলগা টক করা ঐ মিডিয়া সর্বস্ব লোকেরা আন্দোলন করার কোনও যোগ্যতা দেখাতে পারবে না। সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।