November 3, 2025
রাজ্য

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরানো হল নিয়োগ দুর্নীতি মামলা

সুভাষ পাল, সংবাদ কলকাতা: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরানো হল নিয়োগ দুর্নীতি মামলা। বিচার প্রক্রিয়ার লক্ষ্মণরেখা অতিক্রম করার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নিল সুপ্রিম কোর্ট। জানা গিয়েছে, একটি সংবাদমাধ্যমে বিচারাধীন বিষয় (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুন্তল ঘোষ সংক্রান্ত মামলা) নিয়ে সাক্ষাৎকার দেওয়ার জন্য তাঁর এজলাস থেকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলা সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেজন্য কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম অন্য কোনও বিচারপতির এজলাসে মামলাটি পাঠাবেন। শুক্রবার এবিষয়ে ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘সাক্ষাৎকারের যে প্রতিলিপি এসেছে, তাতে তাঁর এজলাস থেকে (নিয়োগ দুর্নীতির) মামলা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশকে ন্যায্য বলেই মনে করছি আমরা।’ দেশের শীর্ষ আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রসঙ্গত গত বছর একটি জনপ্রিয় বাংলা টিভি চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবিষয়ে একটি মামলা দায়ের করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বিষয়টি সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে ওঠে। এবিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের কাছে একটি হলফনামা তলব করে সুপ্রিম কোর্ট। আজ সেটি সুপ্রিম করতে জমা পড়ে। যেটি খতিয়ে দেখেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। এরপর মামলাটি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
তবে এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে কোনওরকম স্থগিতাদেশ দেয়নি বা অন্য কোনও নির্দেশ দেয়নি। পুরোপুরি প্রশাসনিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র বিচারাধীন মামলাটি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। ওই মামলা যেমন অবস্থায় ছিল, সেরকমই থাকবে। সিবিআই তদন্ত যেমন চলছিল, তেমনই চলবে।

সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তলের চিঠি প্রসঙ্গে বিচারগতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে সিবিআই। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে যান অভিষেক। অভিষেকের আইনজীবী সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকারের বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি দাবি করেন, যে মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বলা হয়েছে, সেই মামলার কোনও পক্ষ নন অভিষেক। তাছাড়া বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় যে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন, তাতে অভিষেকের প্রতি তাঁর বিরূপ মনোভাব ফুটে উঠেছে।

Related posts

Leave a Comment